

করোনার জেরে দেশজোড়া লকডাউন চালু হওয়ায় ২৫ মার্চ থেকেই যাবতীয় রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়, বিচ্ছিন্ন হয় দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। মে মাসের ১ তারিখ থেকে ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফেরাতে চালু হয় শ্রমিক স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। আজ থেকে দেশের নানাপ্রান্তে আরও ৮০টি দূরপাল্লার প্যাসেঞ্জার ট্রেন নামানো হচ্ছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে তৎকাল টিকিট বুকিং ৷ উল্লেখযোগ্য এই ৮০টি ট্রেন বর্তমানে চলমান ৩০টি স্পেশাল রাজধানী এবং ২০০টি স্পেশাল মেল এক্সপ্রেস ট্রেনের থেকে আলাদা হবে।


এই ট্রেনগুলি চলাচল শুরু করলে দেশে মোট ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বেড়ে ৩১০ হয়ে যাবে। এই ট্রেনগুলি নির্দিষ্ট টাইমটেবল মেনেই চলবে বলে রেলের পক্ষে জানানো হয়েছে। তবে টাইমটেবল অনুসারে সব স্টেশনে ট্রেন থামবে না। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে ট্রেন কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে তা ঠিক করা হবে৷


গত শনিবার রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, 'আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৮০ টি বা ৪০ জোড়া নয়া স্পেশাল ট্রেনের পরিষেবা শুরু হবে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সংরক্ষণ (রিজার্ভেশন)। এখন যে ২৩০ টি ট্রেন চলছে, তার পাশাপাশি এই ট্রেনগুলি চলবে।'


রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব আগেই জানিয়েছিলেন যে এই ট্রেনগুলির লম্বা ওয়েটিং লিস্ট থাকায়, যাত্রীদের চাহিদা মেনে এই রুটগুলিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জেনে নিন এই ৮০টি ট্রেনের রুট, বুকিং ডিটেল আর অনান্য জরুরি তথ্য৷


তার মধ্যে তিন জোড়া (ছ'টি ট্রেন) পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দুটি ট্রেন ছাড়বে হাওড়া থেকে, একটি ছাড়বে লালগড় থেকে। হাওড়া-তিরুচিরাপল্লি এক্সপ্রেস (বৃহস্পতিবার ও শনিবার)। তিরুচিরাপল্লি-হাওড়া এক্সপ্রেস (মঙ্গলবার ও শুক্রবার)। হাওড়া-ইন্দোর এক্সপ্রেস (সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার)। ইন্দোর-হাওড়া এক্সপ্রেস (মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার)। লালগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস (রোজ)। ডিব্রুগড়-লালগড় এক্সপ্রেস (রোজ)।


স্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আগাম হাজির হতে হবে যাত্রীদের। এই ট্রেনগুলিতে যারা যাত্রা করবেন তাঁদের কমপক্ষে ৯০ মিনিট আগে রেলস্টেশন পৌঁছাতে হবে। সমস্ত যাত্রীদের রেলস্টেশনে স্ক্যানিং করা হবে। যদি কোনও যাত্রীর মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা যায় তবে সেই যাত্রীকে ট্রেনে যাত্রা করতে দেওয়া হবে না।