পাকিস্তানে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইকে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? ভোটের মুখে এ নিয়েই এখন তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। ২০১৬’র সার্জিকাল স্ট্রাইকের মতো এবারও সেনার সাফল্যের কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদিকে দিতে চাইছে বিজেপি। বিরোধীরা আবার বায়ুসেনার সাফল্যকে সম্মান জানিয়েই জানতে চায়, এয়ারস্ট্রাইকে ক্ষয়ক্ষতি কী হয়েছে? এমন প্রশ্ন তোলায় প্রতিদিনই বিরোধীদের আক্রমণ করছেন নরেন্দ্র মোদি। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কর্মসংস্থান, কৃষক আত্মহত্যা, বা রাফালের মতো যে সব ইস্যুকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এতদিন অস্ত্র করছিল বিরোধীরা, সে সব পিছনে ফেলে ভোটের মুখে মোদি এখন চাইছেন, বিরোধীদের গায়ে দেশবিরোধীর তকমা সেঁটে দিতে।
কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইটারে লিখেছেন, দেশের এক গর্বিত নাগরিক হিসেবে সরকারের উপর ভরসা করতে আমি তৈরি। কিন্তু, আমি যদি চাই, দুনিয়াও ভরসা করুক, তা হলে সরকারের উচিত বিরোধীদের আক্রমণ বন্ধ করে বিশ্বের ভরসা অর্জনের লক্ষ্যে চেষ্টা করা। হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ভাইস এয়ার মার্শাল মন্তব্য করতে চাননি। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, কোনও নাগরিক বা সেনা মারা যাননি। তা হলে হতাহতের সংখ্যা ৩০০ থেকে ৩৫০ কে বলল ?
যিনি একসময় বাইশ গজে পাকিস্তান বধে লড়েছেন, সেই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু, রাজনীতির বাইশ গজেও আক্রমণাত্মক। টুইটারে মোদি সরকারের দিকে ছুড়ে দিয়েছেন প্রশ্নবাণ। কটাক্ষের সুরে জানতে চেয়েছেন, ৩০০ জঙ্গি মারা গিয়েছে, সত্যি না মিথ্যে? তা হলে লাভ কী হল ? জঙ্গিদের শিকড় উপড়েছেন না কি গাছের? এটা কি ভোটের গিমিক? বিদেশি শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ের ভান করা হচ্ছে। সেনাকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। রাষ্ট্রের মতোই সেনাও পবিত্র। শেষে সিধুর খোঁচা - বড় দোকানের বাজে মিষ্টি।
এ ভাবেই ভোটের ময়দানে এখন শাসক-বিরোধী যুদ্ধ। এসবের মাঝে, এ দিন ট্যুইট করেন রাষ্ট্রপতি। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রশংসা করেছেন রামনাথ কোবিন্দ। পাশাপাশি তিনি এও লিখেছেন, শান্তি রক্ষায় ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু, প্রয়োজনে দেশকে রক্ষা করতে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাব। আমাদের বাহিনীর কাজেই তা প্রতিফলিত হয়েছে। সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনা জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে হামলা চালায়। এতে তাদের শৌর্য প্রকাশ পেয়েছে।