ছুটিতে সরকারি চিকিৎসক, মরণাপন্ন প্রসূতির অস্ত্রোপচার করে প্রাণ বাঁচালেন বিধায়ক

নিজের বিধানসভা এলাকায় ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতি কী হয়েছে, তা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন৷ তখনই খবর এল, এলাকার এক মহিলা প্রসব বেদনায় ছটফট করছেন৷ কিন্তু এলাকায় কোনও চিকিৎসক নেই৷ সময় নষ্ট না করে নিজেই জরুরি ভিত্তিতে ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করলেন বিধায়ক৷ কারণ পেশায় তিনি নিজেও একজন চিকিৎসক৷ PHOTO- INSTAGRAM/WETHENAGAS

রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে যখন একের পর এক অভিযোগ ওঠাটাই স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে, তখন এই বিধায়কের হাত ধরে মানবিক ছবির সাক্ষী থাকল মিজোরাম৷ ঘটনাটি ঘটেছে মিজোরামের ছামপাই জেলায়৷ যে বিধায়ক এই অস্ত্রোপচার করেছেন, তাঁর নাম জেড আর থিয়ামসাঙ্গা৷

পেশায় চিকিৎসক এবং স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ থিয়ামসাঙ্গা সোমবার সকালে ছামপাই জেলায় পর পর ভূমিকম্পের জেরে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পরিদর্শনে যান৷ একই সঙ্গে এলাকার কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখাও তাঁর উদ্দেশ্য ছিল৷ সকালে এলাকায় পৌঁছনোর পরই ওই প্রসূতির কথা তাঁকে জানানো হয়৷

থিয়ামসাঙ্গা পরে একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'ওই মহিলা এনগুর নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা৷ নিজের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছিলেন তিনি৷ তাঁর প্রচণ্ড প্রসব যন্ত্রণা ছাড়াও শারীরিক অবস্থাও বেশ জটিল হয়ে পড়েছিল কারণ একটানা রক্তক্ষরণে তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা তলানিতে এসে ঠেকেছিল৷'

এ দিকে জেলা হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞও শারীরিক কারণে ছুটিতে ছিলেন৷ তাছাড়া সবথেকে কাছের হাসপাতাল বলতে তা আইজলে অবস্থিত৷ যা সেখান থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে৷

ঘটনার কথা শুনেই ওই প্রসূতিকে স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন ওই চিকিৎসক তথা বিধায়ক৷ নিজে সেখানে পৌঁছে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি অস্ত্রোপচারটি করেন৷ এখন মা এবং শিশু দু' জনেই সুস্থ আছে৷

অতীতেও এক প্রসূতিকে একই ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন থিয়ামসাঙ্গা৷ ২০১৮ সালে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন তিনি৷