করোনা ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল অবধি দেশজুড়ে লকডাউন ৷ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া সমস্ত দোকানেরই ঝাঁপ বন্ধ ৷ বন্ধ মদের দোকানও ৷ এমন অবস্থায় অ্যাকিউট উইথড্রাল সিনড্রোমের কারণে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ৷ মদ না খেয়ে কেউ নেশার তেষ্টা মেটাতে খাচ্ছেন শেভিং ক্রিম, কেউ স্পিরিটের সঙ্গে জল-কোল্ড ড্রিংক মিশিয়ে খেতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন ৷ সেসব ঘটনা মাথায় রেখেই মেঘালয় সরকারের এমন পদক্ষেপ ৷
শুধু মেঘালয় সরকারই নয়, কেরল সরকার ইতিমধ্যেই ডাক্তারের ‘প্রেসক্রিপশন’ দেখিয়ে মদ কেনার ব্যবস্থা চালু করেছে সে রাজ্যে ৷ যদিও তাতে সমস্যা মেটেনি ৷ গত সাত দিনে ৬ জন মদ না পাওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন, বলে জানা গিয়েছে ৷ ডি-অ্যাডিকশন বিশেষজ্ঞরাই জানাচ্ছেন, এমনটা চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিনে আত্মহত্যার ঘটনা আরও বাড়বে ৷ নেশাগ্রস্থরা আচমকা মদ না পাওয়ার শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না ৷ বাড়ি বাড়ি শুরু হয়েছে অশান্তি, জিনিসপত্র ভাঙচুর ৷ ‘উইড্রয়াল সিম্পটম’-কে মানিয়ে নিতে অসুবিধায় পড়েছেন অধিকাংশরাই ৷ সেই সমস্যা মাথায় রেখেই মেঘালয় সরকারের এমন সাহসী সিদ্ধান্ত ৷