Meerut House On Lata Mangeshkar: ভক্তের এই বাড়িতে আজীবন থাকবেন লতা মঙ্গেশকর, 'লতাঞ্জলি'তে ছড়িয়ে হাজারো স্মৃতি

মেরঠের গৌরব ৩০ বছর ধরে লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতি লালন-পালন করছেন। নিজের বাড়ির নামও রেখেছেন লতাঞ্জলি। এই বাড়িতে শুধু লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতি ছড়িয়ে। গৌরব, যিনি লতা দিদিকে তাঁর দেবতা বলে মনে করেন, তিনি ১৯২৯ সালের মুদ্রাও সংরক্ষণ করেছেন। গৌরব বলেছেন, লতা জির জন্ম ১৯২৯ সালে। তাই সেই সময়ের কয়েনগুলি খুঁজে বের করার পরে তিনি সেগুলি সংগ্রহে রেখেছেন। গৌরব উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে অনুরোধ করছেন, তাঁর বাড়িটিকে লতা মিউজিয়াম হিসেবে ঘোষণা করার জন্য।

এই গল্পটি একজন ভক্ত এবং ঈশ্বরের মতো। ঈশ্বর এখানে লতা মঙ্গেশকর এবং ভক্ত হলেন মেরঠের একজন ৩৮ বছর বয়সী ব্যক্তি। মেরঠের বাসিন্দা গৌরব শর্মা লতা মঙ্গেশকরের অন্ধ ভক্ত। এত বড় ভক্ত যে তিনি তাঁর বাড়ির নাম রেখেছেন লতাঞ্জলি।

গৌরব শর্মা লতা মঙ্গেশকরের সংগ্রামকে তাঁর জীবনের আদর্শ বলে মনে করেন। লতাজির কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখ ভিজে যায়। গৌরব শর্মা লতাজির সঙ্গে বহুবার দেখা করেছেন। লতাজিও গৌরবকে নিজের ছেলে মনে করতেন।

গৌরব বলছিলেন, প্রিয় লতাজিকে তিনি ভগবানের রূপে দেখেন। তাঁকে দেখলে তিনি সব ভুলে যান। অথচ লতাজির সঙ্গে তাঁর একটি ছবিও নেই। লতা মঙ্গেশকরের সমস্ত টুইট গৌরব শর্মা লেমিনেট করে রেখেছেন।

গৌরব শর্মা একজন শিক্ষক। তাঁর স্বপ্ন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে লতা মঙ্গেশকরের স্মরণে একটি করে গাছ অন্তত থাকুক। গৌরব শর্মার কাছে লতাজির একটি স্বাক্ষরিত ছবি রয়েছে। শুধু তাই নয়, লতা জির শৈশবের কিছু দুর্লভ ছবিও রয়েছে।

গৌরবের ঠাকুরমা ১৯৮৭-৮৮ সালে তাঁকে লতা মঙ্গেশকরের ছবি দিয়েছিলেন। সেই ছবি আজও আছে। লতাজির গাওয়া সব গানই গৌরবের সংগ্রহে রয়েছে, সব ক্যাসেট ও সিডিও। এমনকি তার লতা মঙ্গেশকরের উপর প্রকাশিত খবরও তাঁর সংগ্রহও রয়েছে।

লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর খবর শুনে ভক্ত গৌরব শর্মা তাঁর বাড়িটিকে লতা মিউজিয়াম হিসাবে ঘোষণা করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।