বিশ্ব উষ্ণায়ণ বা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে কী কী হতে পারে ? কেমন বিপদের মুখে পড়তে পারে প্রকৃতিজগৎ ? এই বিষয়ে নিত্যদিনই কিছু না কিছু গবেষণা প্রকাশিত হয়ে চলেছে। রিপোর্ট বলছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার ফলে বেশ কিছু প্রাণীরা চিরতরে লোপ পেতে পারে। বরফ গলে গিয়ে বাড়তে পারে সমুদ্রের জলস্তর, দেখা দিতে পারে মহাপ্লাবন, পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যেতে পারে পৃথিবী
ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর কসমোলজি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোপার্টিকল ফিজিক্সের গবেষক জ্যোতির্বিদ য়ি-কুয়ান চিয়াং তাঁর সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করেছেন, সাফ জানাচ্ছেন, পৃথিবী আর ব্রহ্মাণ্ডের উষ্ণতা একই সময়ে কাকতালীয় ভাবে বেড়ে চলেছে ঠিকই, কিন্তু এর একটির সঙ্গে অন্যটির কোনও যোগসূত্র নেই। অর্থাৎ বিশ্ব উষ্ণায়ণের জন্য মানুষই দায়ী, মহাজাগতিক কোনও ঘটনা নয়!
চিয়াং তাঁর প্রকাশিত গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, ব্রহ্মাণ্ডের এই উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি ২০১৯ সালে ফিজিক্সে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত জিম পিবলসের এই সূত্রকেই সমর্থন করে। সহজ ভাবে বললে সেই সূত্রে পিবলস দেখাতে চেয়েছিলেন যে কী ভাবে মহাশূন্যে নক্ষত্র, গ্রহ, গ্রহাণু তৈরি হয়। সেই সূত্র ধরেই চিয়াং বলছেন যে এই তৈরি হওয়ার সময়ে মহাশূন্যে জন্ম নেয় এক প্রবল অভিকর্ষজ টান। সেই টানে মহাশূন্যের যাবতীয় ডার্ক ম্যাটার আর গ্যাস গিয়ে জমা হতে থাকে এক কেন্দ্রবিন্দুতে, পরিমাণে বাড়তে থাকে ব্রহ্মাণ্ডের উষ্ণতা। যে হেতু এই সৃষ্টিপ্রক্রিয়া এখনও চলছে, তাই উত্তাপও বেড়েই চলেছে।