

পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহটিতেই প্রাণ রয়েছে? ঠিক তাই৷ শুক্রগ্রহের মেঘে ফসফিন গ্যাস দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা প্রাণের অস্তিত্বের বিষয়ে তাঁদের আশাবাদী করে তুলেছে।


পৃথিবীতে এই ফসফিন গ্যাস উৎপাদনে ব্যাক্টেরিয়ার ভূমিকার কথা মাথায় রেখে তাঁরা ভাবছেন, তাহলে শুক্রগ্রহেও তেমন কোনও ব্যাক্টেরিয়া থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধানের গবেষণায় নাসা-র তরফে এই আবিষ্কারকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷


শুক্রগ্রহে যাওয়ার তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এবং সেই রেসে এবার ঢুকে পড়ল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো৷ ইতিমধ্যেই ইসরো-র প্রস্তাবিত মহাকাশ যানের তালিকায় রয়েছে 'শুক্রযান৷' ইসরো-র এই 'শুক্রযান' মূলত শুক্রগ্রহের আবহাওয়ার রসায়নের খুঁটিনাটি সংগ্রহ করবে এবং শুক্রের চারপাশে ঘুরবে৷


ইসরো-র চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে বা তারপরে শুক্রযান মিশন লঞ্চ করবে ইসরো৷ নিউজিল্যান্ডের একটি বেসরকারি রকেট প্রস্তুতকারী সংস্থাও শুক্রগ্রহে ছোট স্যাটেলাইট পাঠানোর বিষয়ে পরিকল্পনা করছে৷


রয়টার্স জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক গবেষক দল প্রথমে হাওয়াই দ্বীপে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপে শুক্রগ্রহের মেঘপুঞ্জে ফসফিন গ্যাস দেখতে পান। এরপর চিলির আতাকামা মরুভূমি থেকে এএলএমএ রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে তা নিশ্চিত হন।