শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বসা সর্বদলীয় বৈঠকে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এই কথাই বলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ ভার্চুয়াল এই বৈঠকে মোদি জানান, ‘বিজ্ঞানীদের ছাড়পত্র পেলেই টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে ৷ দেশে এই মুহূর্তে আটটি ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে ৷ প্রতিষেধক দেওয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন রোগী, স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ প্রথমে দেওয়া হবে করোনা যোদ্ধাদের ৷ এরপরই ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবেন দেশের প্রবীণরা ৷ সাধারণ দেশবাসীদের মধ্যে সবার আগে দেওয়া হবে বয়স্ক মানুষদের৷ এনিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে কেন্দ্র ৷’
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিন বণ্টনে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করবে কেন্দ্র ৷ ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ প্রতিষেধকের দাম নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য একযোগে সিদ্ধান্ত নেবে ৷ এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানিয়েছেন ৷ ভ্যাকসিন বিতরণের প্রক্রিয়া নিয়ে পরিকল্পনা ও কাজের জন্য তৈরি ন্যাশনাল এক্সপার্ট টিমের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তাদের সুপারিশ অনুযায়ীই হবে কাজ ৷
সোমবার সেই তিনটি প্রতিষেধকগুলির উপর কিরকম কাজ চলছে তা সশরীরে খতিয়ে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেকথাও তিনি এদিন জানান ৷ আমেদাবাদের জাইডাস ক্যাডিলার ল্যাবে ভ্যাকসিনের কাজ কর্ম খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিনের কাজ দেখতে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের দফতরে ৷ শেষে যান পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট ৷ এদেশে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে মিলে এদেশে অক্সফোর্ডের গবেষণা দলের আবিষ্কৃত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট ৷