ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৬ মে থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেবে ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'। এর আগে বহু আন্তর্জাতিক আবহাওয়াবিদই মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এর আগমনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। মার্কিন আবহাওয়ার দফতরের পূর্বাভাস কেন্দ্র মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম এবং ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট-এর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল আগেই। তারপরে দেওয়া হয়েছিল নাম৷ এখন প্রশ্ন, এই যে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তারপর তা আছড়ে পড়ে কোনও না কোনও দেশের উপকূলে, তাদের প্রত্যেকের বিশেষ নাম দেওয়া হয় কেন? কে-ই বা এই নামগুলো দেয়? এই নামের ভিত্তি কী থাকে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আমরা আলোচনা করব এই প্রতিবেদনে৷
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের দুটি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমটির মাধ্যমে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়ে থাকে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম রাখা হয়। বিভিন্ন স্থানীয় আবহাওয়া কেন্দ্র এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রগুলি ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম দেয়৷ আইএমডি-ও বিশ্বের এই ৬টি অঞ্চল ভিত্তিক আবহাওয়া কেন্দ্রের তালিকার অন্তর্ভুক্ত৷ আইএমডি উত্তর ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়েরও নামকরণ করতে পারে।