

আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় বুরেভি। কেরল সরকার শুক্রবার পাঁচটি জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। কারণ এই পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুরেভি আছড়ে পড়তে চলেছে। আবহাওয়া দফর তাদের সাম্প্রতিক বুলেটিনে জানিয়েছে, শুক্রবার তা আছড়ে পড়বে। এবং যে কারণে দক্ষিণ কেরল এবং দক্ষিণ তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে।


অন্যদিকে, আবহাওয়া দফর কেন্দ্র (আইএমডি) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে হিমাচল প্রদেশের মধ্য ও উঁচু পাহাড়ে ৪ ডিসেম্বর থেকে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডি-র সাইক্লোন সতর্কতা বিভাগ জানিয়েছে, মান্নার উপসাগরে, ঘূর্ণিঝড় বুরেভি ৩ ডিসেম্বর দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। এই ঝড়ের গতিবেগ হবে ৫৫-৬৫ কিমি প্রতি ঘন্টা থেকে ৭৫ কিমি প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত যেতে পারে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।


শ্রীলঙ্কা অতিক্রম করার পরে আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে, বৃহস্পতিবার সকালে মান্নার উপসাগরের কাছে তা পৌঁছয়। এর পরে পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ, শুক্রবার কন্যাকুমারী ও পাম্বানের মধ্যে দিয়ে তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা তার।


আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল তামিল নাডু, পুদুচেরি ও কারাইকালে। অন্ধ্র প্রদেশ ও লাক্ষাদ্বীপে শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানায় আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণ তামিল নাডুর বেশ কিছু জায়গায় ভারী ও অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস ছিল কেরালার প্রান্তিক অঞ্চল ও মাহেতেও।


কেরলে মোট ২০০০টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। শুক্রবার পাঁচ জেলায় সমস্ত সরকারি এবং সরকার অনুমোদিত সংস্থায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপের পরিণত হলেও এই পাঁচটি জেলা ছাড়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার সাহায্য চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেরালায় মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে অভিযানের উপরে আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা।


তিরুবনন্তপুরমে ২১৭ টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। এবং দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলগুলির ১৫,৮৪০ জনকে এই শিবিরগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন এবং লোকদের খুব সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এদাপ্পাদি পালানিল্বামীর সঙ্গে এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেন, সাহায্যের আশ্বাস দেন।