

•বিহারের রাজনীতিতে প্রতি ১৫ বছর অন্তর আসে পরিবর্তন৷ স্বনামধন্য জয়প্রকাশ নারায়ণ আন্দোলনের সময় থেকেই এই ট্রেন্ড ধরা পড়ছে৷ ঠিক সেই হিসেবে বিহারে জাতপাতের লড়াইকে পাশে সরিয়ে এবার যুবসম্প্রদায়ের হাতে ব্যাটন তুলে দিতে চাইছে বিহারের জনসাধারণ৷ লালু-রাবরির যুগ চলছে ১৫ বছর৷ তারপর মসনদে বসেন নীতিশ৷ ২০০৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত চলেছে নীতিশ রাজ৷ এবার সেই শান্ত কূটনৈতিকের দিন শেষ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বদলের ডাক শোনা যাচ্ছে বিহার জুড়ে৷


•অনেকেই বলছেন যে নীতিশ নয়, এবার বিহারে তেজস্বীকেই ভোট দেবেন তাঁরা৷ বিশেষ করে যুবসমাজের থেকে বিপুল সমর্থন মিলছে লালু-রাবড়ি পুত্রর৷ আরজেডি নেতার তেজস্বীর জনসভা থেকেই মিলছে ব্যাপক সাড়া৷


• প্রচারে তিনি বারবার জোড় দিয়েছেন চাকরির ওপর এবং জানিয়েছেন যে জিতলে সর্বপ্রথম তিনি চাকরির প্রতিশ্রুতি পালন করবেন৷


•আপাতত চাকরির প্রতিশ্রুতিতেই বাজিমাত করেছেন আরজেডি নেতা৷ এই নিয়ে রীতিমতো অঙ্কও কষেছেন তিনি৷ দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে রাজ্যে ৪.৫ লক্ষ শূন্যপদ তৈরি হয়েছে এবং তার সঙ্গে আরও ৫.৫ লক্ষ চাকরির পদ তৈরি করা হবে৷ এতে খুবই খুশি বিহারের মানুষ৷


•কারণ বিহারে কর্মসংস্থানের অভাব একটা বড় সমস্যা৷ গত বছর এর হার ছিল ১০.৩ শতাংশ যা দেশের মধ্যে ছিল সব থেকে বেশি৷ ২০২০ এপ্রিলে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬.৬ শতাংশে৷


•এর পাশাপাশি ২০১১ জনসমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী বিহারে যুবদের সংখ্যা সবথেকে বেশি৷ ৩০ বছরের কম বয়সীরা বেশি রয়েছেন এই রাজ্যে৷ ফলে চাকরি ও উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়াই লক্ষ্য বিহার সরকারের৷ নীতিশ আমলে উন্ননয় এসেছে ঠিকই৷