

• ধীরে ধীরে মানসিক স্থিরতা হারাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ-তে ধর্ষিতার স্বামী । তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে মানসিক হাসপাতালে । চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পোস্ট ট্রমাটিক শকের মধ্যে রয়েছেন তিনি । এই অবস্থা কাটাতে সময় লাগবে । অন্তত দিন পনেরোর ওষুধ চলার পর এ বিষয়ে বিষদে বলা সম্ভব হবে । প্রতীকী চিত্র ।


• গণধর্ষিতা-মৃত বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার স্বামী মাঝেমধ্যেই অদ্ভুত আচরণ করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা । গত সোমবার বিকেলে ঘুম থেকে চমকে উঠে পড়েন তিনি । তারপর তাঁর স্ত্রী’র নাম ধরে ডাকতে থাকেন । এ ঘর, ও ঘর স্ত্রী’কে খুঁজতে থাকেন । না পেয়ে উনুনের উপর থেকে গরম তাওয়া হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান । কোনওরকমে আবার তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় । এরপরেই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে । প্রতীকী চিত্র ।


• মৃতার জামাই জানান, তাঁর শ্বশুরমশাই অস্বাভাবিক আচরণ করছেন । বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরমশাই সম্পূর্ণভাবে তাঁর শাশুড়ি মায়ের উপর নির্ভর করতেন । নিজে অসুস্থ ছিলেন বলে ঘরের সমস্ত কাজ, তাঁর দেখাশোনা, বাচ্চাদের বড় করার সমস্ত দায়িত্বই একা সামলেছিলেন তাঁর স্ত্রী । শেষ বয়সে এসে এই আঘাতটা তিনি সহ্য করতে পারছেন না । স্ত্রী’কে রক্তের সাগরে মাখামাখি অবস্থায় দেখার পর থেকেই নানারকম মানসিক সমস্যা শুরু হয়েছে তাঁর । প্রতীকী চিত্র ।


• ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে এই নৃশংস গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের । অভিযুক্তের নাম সত্যনারায়ণ । গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয় । বুধবারই সত্যনারায়ণের দুই সাগরেদকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ । তাদের জেরা করেই সত্যনারায়ণের নাগাল পাওয়া যায় । প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল মন্দিরের পুরোহিত এবং তার সেবক ও ড্রাইভারের দিকে । সেবক বেদরাম ও ড্রাইভার যশপালকে গ্রেফতার করা হয় । কিন্তু মন্দিরের মোহান্ত বাবা সত্যনারায়ণ গা ঢাকা দিয়েছিল । শেষ পর্যন্ত তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ । প্রতীকী চিত্র ।


• গত ৩ জানুয়ারি, রবিবার বদায়ুঁর ওই ভয়াবহ গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসতেই শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ । উস্কে উঠেছিল নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি । এখানেও গণধর্ষণের পর মধ্যবয়স্কা মহিলার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল লোহার রড । ভেঙে দেওয়া হয়েছিল তাঁর পাঁজর ও পা । মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল ওই মহিলার । ঘটনার পর থেকেই মারাত্মকভাবে সমালোচিত হতে থাকে যোগী সরকার । নিন্দা-ধিক্কারে মুখোরিত হয় গোটা দেশ । প্রতীকী চিত্র ।


• ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলা স্থানীয় মন্দিরে গিয়েছিলেন পুজো দিতে । বিকেল পাঁচটার সময় বাড়ি থেকে বের হন তিনি । কিন্তু তারপর আর ফেরেননি । রাত ১১ টার সময় আশেপাশে কোথাও তাঁকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশে একটি নিখোঁজ ডায়রি করে মহিলার পরিবার । এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ । পরের দিন সকালে মন্দির চত্বর থেকে মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় । ময়ানতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মহিলার যৌনাঙ্গ মারাত্মকভাবে জখম ছিল । যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢোকানো হয়েছিল । এ ছাড়াও তাঁর বুকের পাঁজর ও পা ভাঙা ছিল । ফুসফুসেও ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মহিলার মৃত্যু হয় । প্রতীকী চিত্র ।


• তবে জেরায় সত্যনারায়ণ নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করেছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এমনকি ধর্ষিতা, মৃতা ওই মহিলার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি করেছে সত্যনারায়ণ । সত্যনারায়ণের দাবি, নির্যাতিতা ওই মহিলা ছাড়াও আরও দু’জনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বহুদিন ধরেই । সেই নিয়েই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল । সে দিন রাগে ওই মহিলা কুঁয়োয় ঝাঁপ দেন । প্রতীকী চিত্র ।