লাদাখে কারাটে, কুংফু বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়েছে চিন ৷ ১৫ জুন সংঘর্ষের আগেই লাদাখে পৌঁছয় এই বিশেষ চিনা ফৌজ ৷ হাতাহাতির পরিকল্পনা করেই চিনারা এদের পাঠায় ৷আলোচনা নয় হাতাহাতিই টার্গেট ছিল চিনাদের ৷ চিনা মার্শাল আর্টের উপযুক্ত জবাব দিতেই এবার LAC-তে মোতায়েন দুটি প্যারা কম্যান্ডো ইউনিট ৷ কাশ্মীর থেকে লাদাখে পাঠানো হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে অংশ নেওয়া ঘাতক কম্যান্ডো বাহিনীকে ৷ Representative Image
পাহাড়ি এলাকার সীমান্ত রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন পাহাড়ি এলাকার জওয়ানরা। আর চিনের সঙ্গে সীমান্তে, যেখানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ, সেখানে বড় ভরসা ঘাতক বাহিনী। মিক্সড মার্শাল আর্ট আর এভারেস্টে চড়তে পটুদের সেনা বাহিনীতে নিয়ে টেক্কা দিতে চাইছে চিন। জবাব দিতে তৈরি আছে ভারতীয় সেনার ঘাতক বাহিনী। Representative Image
চিনকে ঠেকাতে ভরসা 'ঘাতক কমান্ডো'৷ ভারতীয় সেনার গর্ব এই বাহিনী ৷ ব্যাটেলিয়নের অন্যদের সাহায্য ছাড়াই আচমকা পিছন দিক থেকে শত্রু শিবিরে হামলা চালাতে অত্যন্ত ঘাতক কমান্ডোরা। সাধারণত ২২ জনের বাহিনী থাকে এই কমান্ডোদের। এঁরা থাকেন পদাতিক বাহিনীর প্রতি ইউনিটের সঙ্গেই। পদাতিক বাহিনীর একটি ইউনিটে ৪০-৪৫ জন ঘাতক কমান্ডো আছেন।
Representative Image
ঘাতক কমান্ডোদের ৪৩ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয় কর্ণাটকের বেলগাঁওতে। শারীরিকভাবে সেরা জওয়ানদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৩৫ কেজি বোঝা নিয়ে ছুটতে হয় টানা ৪০কিমি। বিভিন্ন অস্ত্র চালানোর পাশাপাশি খালি হাতে লড়াইয়ের জন্য দিন সাতেকের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ঘাতক কমান্ডোদের। তার মধ্যে থাকে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণও। Representative Image
উরিতে জঙ্গি হানায় নিহত জওয়ানদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন বিহার ও ডোগরা রেজিমেন্টের। বদলা নিতে সার্জিকাল স্ট্রাইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ওই দুই রেজিমেন্টের ঘাতক কমান্ডোরা।
কার্গিল যুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট টাইগার হিল দখল। সে কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ঘাতক কমান্ডো যোগেন্দ্র সিং।
এবারও চিনকে মাত দিতে নিজেদের অভিজ্ঞ ও সবচেয়ে দক্ষ অস্ত্রেই ভরসা রাখছে ভারত ৷ Representative Image