

কারও হয় তো বার বার দোকানে যাওয়ার সময় নেই বা কারও শারীরিক সামর্থ্যেও বাধতে পারে। তাই অনেকেই এক সপ্তাহ বা দুসপ্তাহের বাজার একসঙ্গে করে ফ্রিজে রেখে দেন। বিশেষ করে চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এমন হয়েই থাকে। পাশাপাশি এই করোনা পরিস্থিতিতে বার বার বাইরে বেরোনো এড়াতে শাক-সবজি সবই একেবারে কিনে এনে স্টোর করে রাখা হয়। এই সব কিছুর মধ্যে থাকে ডিমও।


একসঙ্গে এক ট্রে ডিম এনে অনেকেই ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু নতুন এক সমীক্ষা বলছে, ফ্রিজে ডিম স্টোর করা উচিৎ নয়। ফ্রিজে রাখা ডিম খেলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে।


প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর থাকে ডিম। তাই সব নন-ভেজ বাড়িতেই প্রায় রোজ ডিম খাওয়া হয়। বেশিরভাগ বাড়িতেই তাই ডিম ফ্রিজে রাখা হয়। আর দোকানগুলোতে তো এই দৃশ্য খুব সাধারণ বিষয়।


অনেকেই মনে করতে পারেন যে এতে ডিম ভালো থাকে। কিন্তু নতুন সমীক্ষা বলছে এতে ডিমের উপরে ব্যাকটেরিয়া জমে যায়। এখন অনেকেই বলতে পারে তাতে কী, ডিমের তো ভিতরের অংশ খাওয়া হয়! সমীক্ষা বলছে, ফ্রিজে ডিম রাখার ফলে যে ব্যাকটেরিয়া ডিমের খোসার উপর তৈরি হয়, তা ভিতরেও প্রবেশ করে বেশ কিছু দিন থাকলে। যা খালি চোখে বোঝা সম্ভব নয়।


তাই দীর্ঘ দিন ফ্রিজে রাখা ডিম খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বদহজম বা পেটব্যথাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম সাধারণ তাপমাত্রায় রাখলেই ভালো থাকে। একে অতিরিক্ত ঠান্ডায় রাখার প্রয়োজন পড়ে না।


তাই এ বার থেকে ডিম আনলে তা বাড়িতে খুব সাধারণ ভাবে রাখা-ই ভালো! এটা অনেক দিন পর্যন্ত সাধারণ তাপমাত্রায় ফ্রেশ থাকবে। এর জন্য আলাদা করে ফ্রিজের প্রয়োজন নেই।


এ বার অনেকেই বলতে পারেন, দোকানে গেলে তো ডিম কোথায় রাখা হচ্ছে, তা বোঝা যায় না! সে ক্ষেত্রে দোকানের তৈরি ডিমের খাবার এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে। তবে, ভালো কোনও দোকান সাধারণত ডিম বা যে কোনও রকম ফুড ইনগ্রিডিয়েন্টস বেশি দিন স্টোর করে রাখে না। ফলে ফ্রেশ খাবার দেয়, এমন দোকানে গিয়ে খেলে এ সব ঝুঁকি এড়ানো যাবে।