

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) বা হু (WHO) ঘরের বাইরে ও ভিতরে মাস্ক পরার নিয়মাবলী নতুন করে আপডেট করল। করোনাকালে মাস্ক (mask) পরা, বার বার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখা আর সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার গুরুত্ব প্রত্যেকেই বুঝতে পেরেছেন। তাই মাঝে মধ্যেই এই বিষয়ে হু (WHO) তার নির্দেশিকা দিতে থাকে।


অতিমারী শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সংস্থার চতুর্থ নির্দেশিকা। তবে WHO এ-ও বলেছে যে শুধু মাস্ক করোনা সংক্রমণ রোধ করতে পারবে না। তার সঙ্গে হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখতে হবে। আইসোলেসশন (isolation) ও কোয়ারেন্টাইনে (quarantine) থাকাকালীনও সব নিয়ম মেনে চলতে হবে।


শিশুদের জন্য পরামর্শ: কোনও রকম শারীরিক সমস্যা না হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুদের মাস্ক পরার দরকার নেই। যাদের বয়স ছয় থেকে এগারোর মধ্যে, তারা মাস্ক পরতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বড়দের তাদেরকে মাস্কের সঠিক ব্যবহার শিখিয়ে দিতে হবে। যে অঞ্চলে তারা থাকে, সেখানে সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে।


এগারো বছরের বেশি বয়স যাদের অর্থাৎ যারা বয়ঃসন্ধিতে আছে এবং যারা প্রাপ্তবয়স্ক তাদের সবার ক্ষেত্রেই নিয়ম এক। তবে যদি কোনও শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, যে সব শিশুরা ক্যানসারে আক্রান্ত বা যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, তাদের জন্য নিয়মের ব্যতিক্রম হতে পারে।


প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা: যখন কোনও কারণে এক মিটারের বেশি শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না, তখন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে যাঁদের শারীরিক সমস্যা আছে, তাঁদের মেডিকেল মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।


যাঁরা সেবা করছেন, তাঁদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কারণ তাঁরাও সংক্রমিত হতে পারেন বা তাঁদের থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। মাস্ক যদি বাড়িতে তৈরি করা হয়, তা হলে সেখানে তিনটে স্তর থাকতেই হবে। আর যদি দোকান থেকে মাস্ক কিনতে হয়, তা হলে সেটা মুখে সঠিক ভাবে বসতে হবে, নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো হতে হবে।


মাস্ক ভিজে গেলে বা ড্যাম্প ধরে গেলে ফেলে দিতে হবে। একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হবে সিঙ্গল ইউজ মাস্কও। নিজের মাস্ক অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা চলবে না। মাস্ক যেন নাক আর মুখ ঠিক ভাবে ঢেকে রাখে।


নন মেডিকেল মাস্ক কখন পরা যাবে? দোকান, স্কুল, কাজের জায়গা ইত্যাদির ক্ষেত্রে নন মেডিকেল (non medical) মাস্ক পরা যাবে। বাইরে বেরোলে যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হয়, তা হলেও নন মেডিকেল মাস্ক পরা যায়। ঘরের মধ্যে যদি যথেষ্ট বাতাস আসা-যাওয়ার জায়গা না থাকে, তা হলে সামাজিক দূরত্ব থাকলেও এই মাস্ক পরা যেতে পারে।