প্রতিবছরই উৎসবের আগে নিজেকে ফিট দেখানোর হিড়িক ওঠে। যেভাবেই হোক মেদ ঝড়াতেই হবে। উৎসব শেষ তো মোটিভেশনও বাই বাই বলে। উৎসবের কটা দিন ডায়েটকে বাতিলের খাতায় রেখে মনের সুখে যা ইচ্ছে খাওয়া হয়। কিছু দিন পরেই হজমের সমস্যা, বিপাকক্রিয়া হ্রাস, পেট জ্বালা, বুকে ব্যথার মতন লক্ষণ গুলি চাগাড় দিয়ে ওঠে। তাই কীভাবে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাবেন? রইল কিছু টিপস। Representational Image
প্রচুর পরিমাণে জল খান: শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলিকে বাইরে বের করে আনার সবচেয়ে ভালো উপায় হল জল। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে দিনে কমপক্ষে দু’লিটার জল পান করা উচিৎ। এর ফলে বিভিন্ন রোগের হাত থেকেও মুক্তি মিলবে। উৎসবের মরসুমে বিভিন্ন ধরনের খাবার (জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড ও তৈলাক্ত খাবার) খাওয়ার দরুন শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ডিহাইড্রেশনের কবলে না পড়ার জন্য বেশি মাত্রায় জল গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডিহাইড্রেটেড না হতে সারাদিন জল খান ৷ Representational Image
নিয়মিত স্বাস্থ্যচর্চা:উৎসবের শুরুতে নিজেকে ফিট দেখানোর জন্য অনেকেই শরীর চর্চা শুরু করেন। কিন্তু উৎসব চলাকালীন অনিয়মিত খাবার খাওয়া বা মদ্যপানের ফলে শরীরে প্রচুর টক্সিন, ফ্যাট ও ক্যালোরি জমা হয়। তাই নিজেকে আবার ফর্মে আনতে নিয়মিত শরীর চর্চা শুরু করে দিন। শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করার জন্য সাইক্লিং, জগিং এবং রানিং -এর মতো মাইল্ড ব্যায়াম গুলি দিয়ে শুরু করতে পারেন।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট: প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গ্রিন টি খান। গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস থাকে যা শক্তিশালি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস রূপে কাজ করে। গ্রিন টি-তে ‘এপিগ্যালোক্যাটেকিন গ্যালেট’ নামক এক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস পাওয়া যায়, যা শরীর থেকে বিভিন্ন টক্সিন বাইরে নির্গত করতে সহায়তা করে। আপনার ডায়েটে টোম্যাটো রাখতে পারেন, এতে থাকা জলের পরিমাণ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস গুলি আপনাকে ডিটক্স করবে।
প্রোটিন ডায়েট: সহজেই হজম করা যাবে সেই ধরনের খাদ্য খান। কিছু দিন চাইলে আপনি দুধ জাতীয় প্রোডাক্ট আপনার ডায়েট থেকে বাতিল রাখতে পারেন। লিভারের কার্যক্ষমতা সঠিক রাখার জন্য ফ্যাট জাতীয় খাদ্য কম এবং প্রোটিন জাতীয় খাদ্য ডায়েটে যোগ করুন। যেমন খিচুড়ি, স্যালাড, স্যুপ ইত্যাদি হাল্কা খাবার খান। এতে হজমক্রিয়া ঠিক থাকার পাশাপাশি শরীর পুষ্টিও পাবে।