

শীতকাল মানেই নানা সমস্যা। আবহাওয়ায় বড়সড় পরিবর্তন হয়। এর জেরে জীবনযাপনেও পরিবর্তন আসে। আর এর প্রভাব পড়ে শারীরিক প্রক্রিয়াগুলির উপরে। ঠাণ্ডা, শুষ্ক বাতাসে খুব একটা আর্দ্রতা থাকে না। এর জেরে ত্বক ক্রমশ শুষ্ক হতে শুরু করে। ত্বক কুঁচকে যাওয়া, রিঙ্কল, ফোলা ভাব-সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে নিম্নলিখিত ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবারগুলি।


ভিটমিন D-সমৃদ্ধ খাবারত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটমিন D। শীতকালে অনেকেই ঘরবন্দী হয়ে থাকতে চান। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার জেরে বাড়ির বাইরে বেরোতে চান না। এর জেরে গায়ে সূর্যের আলো লাগে না। ফলে ত্বকে কোলোক্যালসিফেরলের সংশ্লেষও হতে পারে না। এভাবে ভিটামিন D-র ঘাটতি হলে ত্বকের শুষ্কভাব বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে মাশরুম, স্যামন মাছ, ডিমের কুসুম, চিজ, কমলালেবুর রস-সহ নানা রকমের ভিটামিন D-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে।


ভিটমিন E-সমৃদ্ধ খাবারভিটামিন E-তে সলিউবল ফ্যাট ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে। এর অভাবে ত্বক কুঁচকে যাওয়া, বিভিন্ন ব়্যাডিকাল ড্যামেজ থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে অ্যাভোকাডো, পালং শাক, সরষে শাক, আমন্ড, বাদাম, বেরি, কিউই-সহ নানা রকমের ভিটমিন E-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে।


ভিটমিন C-সমৃদ্ধ খাবারলেবু, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আমলকি, ব্রকোলি থেকে শুরু করে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ একাধিক খাবার ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকরী। এটি ত্বকের কোলাজেনের সংশ্লেষণে সাহায্য করে। এর জেরে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য, আর্দ্রতা বজায় থাকে। তাছাড়া ভিটামিন C-সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের কোষ ও কলার ক্ষয় প্রতিরোধ করে।


ভিটমিন A-সমৃদ্ধ খাবারভিটামিন A বা রেটিনল। মূলত স্কিনের রিঙ্কলস, ত্বক কুঁচকে যাওয়া বা এই জাতীয় সমস্যা দূর করে ভিটামিন A-সমৃদ্ধ খাবার। এগুলি ত্বকের এপিডার্মিসকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেয়। ত্বকে জলের ভারসাম্য বজায় রেখে আর্দ্রতার পরিমাণ ঠিক রাখে। এর জেরে শীতকালে ড্রাইনেস ভাব দূর হয়। এক্ষেত্রে মাছ, ডিমের কুসুম, আলু, গাাজর, পালং শাক, কুমড়ো আম, তরমুজ, আঙুর-সহ নানা রকমের ফল ও সবজি খাওয়া যেতে পারে।