

শরীর ভালো রাখতে অনেকেই মাংস, মাছ বা ডিম ত্যাগ করে সবজি খাওয়া শুরু করেন এবং ভেগান ডায়েট ফলো করেন। অনেক চিকিৎসকও এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর নন-ভেজ থেকে পুরোপুরি ভেজিটেরিয়ান হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, ভেগান ডায়েটের একাধিক ভালো গুণ থাকলেও এই ডায়েট ফলো করা মানুষজনের বোন হেলথ অর্থাৎ হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো হয় না।


নতুন সমীক্ষাতে ভেজ খাওয়া মানুষজনের এবং যাঁরা ভেজ ও নন-ভেজ দু'টোই খান, তাঁদের পায়ের গোড়ালির আল্ট্রা সাউন্ড মেজারমেন্ট করা হয়। দেখা যায়, যাঁরা ভেজ খাবার খান, তাঁদের আল্ট্রাসাউন্ড কম থাকে বাকিদের থেকে। যা বোঝায় যে তাঁদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো নয়।


এই বিষয়ে জার্মান ফেডেরা ইনস্টিটিউট ফর রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের গবেষক আন্দ্রেজ হ্যানসেল বলেন, স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই ভেগান ডায়েট মেনে চলেন। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিন্তু আমরা গবেষণা করে, পরীক্ষা করে দেখেছি, এই ধরনের ডায়েটে হাড়ের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে।


এই গবেষণাটির জন্য ৭২ জন পুরুষ ও মহিলাকে নির্বাচন করা হয়। আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে তাঁদের গোড়ালির হাড়ের পরীক্ষা করা হয়। বয়স, ধূমপানের অভ্যেস, মদ্যপানের অভ্যেস, পড়াশোনা, শারীরিক গঠন ও সারা দিনের শারীরিক সক্রিয়তা বিবেচনা করে তার পর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।


এছাড়াও গবেষকদের দলটি একাধিক বিষয় পরীক্ষা করে। একটি স্ট্যাটিস্টিক্যাল মডেলের মাধধ্যে ১২টি বায়োমেকার কী ভাবে হাড়ের উপকারিতায়, গঠনে ও হাড় শক্তিশালী করতে কাজে লাগে, তাও দেখা হয়। পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত ২৮টি পুষ্টিকর উপাদান কী ভাবে কাজ করে, তাও দেখা হয়।


যাতে দেখা যায়, ভিটামিন A ও B6, Lysine ও Leucine- দুই অ্যামিনো অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, সেলেনোপ্রোটিন p, আয়োডিন, TSH, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্লথো-প্রোটিন এই হাড়ের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এই সবগুলি সবজি থেকে পাওয়া যায় না। তাই এর এক-দু'টো কম হলেও তা হাড়ের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।