স্ক্রাব: স্ক্রাবিং ত্বক চর্চার একটি অপরিহার্য অংশ। কিন্তু জ্ঞানীরা যেমন বলে থাকেন, ‘কোনও কিছুই অত্যধিক হলে সেটা সমস্যার কারণ হয়’। এক্ষেত্রেও সেটা সমান সত্যি। অনেকেই বিশেষ করে যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক তাঁরা অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করেন। এতে ক্ষতি হয়। ত্বকের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে স্ক্রাবিং করলে জ্বালা, লালভাব এবং ফোলাভাব দূর হয়। পিম্পলের সমস্যাও থাকে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সপ্তাহে একবার স্ক্রাব করে মুখ এবং হাত, পা পরিষ্কার করা উচিত।
ময়েশ্চারাইজার: একটি বিপজ্জনক মিথ প্রচলিত আছে, সেটা হল বর্ষাকালে ময়েশ্চারাইজার না লাগালেও চলে। কারণ জলের মরসুম, তাই ত্বক এমনিতেই হাইড্রেটেড থাকে, তাই ময়েশ্চারাইজার বরং ড্রয়ারেই থাক, এমনটাই ধারণা অনেকের। এটা মারাত্মক ভুল, এর জন্য ত্বককে মূল্য চোকাতে হয়। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে বাধাহীনভাবে সুস্থ রাখে। এটা নিশ্চিত করে যে ত্বকের তেলগ্রন্থিগুলো যাতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ না করে। এটার উল্টোটা হলে ত্বক ফোড়ার উর্বর ভূমি হয়ে ওঠে। তাছাড়া প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার লাগালে ব্রণর হাত থেকেও বাঁচা যায়।
সান স্ক্রিন ভুললে চলবে না: ‘বৃষ্টির সময় তো আর রোদ বেরচ্ছে না, তাহলে সান স্ক্রিন কেন লাগাব’? বর্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার পিছনে এই সাধারণ চিন্তা। কিন্তু আদতে এটাও একটা ভুল ধারণা যার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। ইউভি-এ এবং ইইভি-বি রশ্মির হাত থেকে রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে বর্ষাকালেও সান স্ক্রিন লাগানো আবশ্যক, আবহাওয়া এখানে অপ্রাসঙ্গিক। এই রশ্মি ত্বকের মূল স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস করার পাশাপাশি পিগমেন্টেশন এবং কুঁচকে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই সমস্যাগুলির কোনটিই ত্বকের সুস্থতার জন্য সহায়ক নয়। বাড়ির ভিতরে বা বাইরে যেখানেই থাকা হোক না কেন, বর্ষার সময় ত্বককে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিনের একটি ভালো ডোজ আবশ্যক।