#কলকাতা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শারীরিক এবং হরমোন জনিত কারণে ত্বকের সমস্যা বাড়তে শুরু করে। মুখে ব্রন, ছোপ এবং কালো দাগ থেকে শুরু করে স্কিনের রঙেও পরিবর্তন দেখা যায়। সূর্যের আলো বা অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসার জন্য এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ত্বকের রঙ বদলে যাওয়ার এই সমস্যাকে পিগমেন্টেশন ডিজঅর্ডার বলা হয়। প্রতীকী ছবি ৷
মেলাসমা (Melasma)
মেলাসমা হল এমন পিগমেন্টারি ডিসঅর্ডার যার ফলে মুখে বাদামি বা ধূসর বাদামি রঙের ছোপ দেখা যায়। এই দাগগুলি সম্পূর্ণ মুখে ছড়িয়ে যেতে পারে আবার অস্পষ্টভাবে জায়গায় জায়গায় দেখা দিতে পারে। ঠিক কী কারণে এই রোগ হয় তা এখনও নির্ধারিত করতে পারেনি গবেষকরা। অতিবেগুনি রশ্মি, গর্ভনিরোধকের ব্যবহারের ফলে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি, ফটোটক্সিক বা বংশগত কারণে সাধারণত এই সমস্যা দেখা যায়। অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসাকে এই রোগের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়। প্রতীকী ছবি ৷
প্রদাহজনিত হাইপারপিগমেন্টেশন (Postinflammatory hyperpigmentation)
মুখে কোনও ব্রন হওয়ার পর বা কোনও ক্ষত সেরে যাওয়ার পর ওই স্থানে কালো দাগ দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই কালো দাগ দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয়ে যায়। ক্ষতের পরে দাগ থেকে যাওয়ার এই সমস্যাকে বলা প্রদাহজনিত হাইপারপিগমেন্টেশন (পিআইএইচ)। ক্ষতস্থানে জ্বলন বা প্রদাহের কারণ এই দাগ দেখা যায়। এই ক্ষেত্রেও অতিবেগুনি রশ্মিকে এই পিগমেন্টারি ডিসঅর্ডারের মূল কারণ বলে দাবি করা হয়। প্রতীকী ছবি ৷
লেন্টিজিনস (Lentigines)
তীব্র রোদের সংস্পর্শে আসার ফলে ত্বকের ওপরে হালকা বাদামি থেকে গাঢ় বাদামি কালো দাগ সৃষ্টি হয়, এই দাগগুলিকে লেন্টিজিনস বলা হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই জেদি দাগের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। যাদের ত্বকে প্রচুর লেন্টিজিনস রয়েছে তারা বেশি রোদের সংস্পর্শে এলে স্কিন ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। প্রতীকী ছবি ৷