বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনটাই ভেবে নেওয়া হয় পুরুষরাই বিবাহ বহিভূত সম্পর্কে বেশি আগ্রহী। এ যেন এক চিরাচরিত ভাবনা। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে মনে করা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সম্পর্কে পুরুষই প্রতারণা করে বেশি। যার একটি প্রধান কারণ, তাঁদের সঙ্গীরা যৌনতার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন বা ফেলেছেন। তাই নতুন যৌন সঙ্গীর খোঁজ থেকেই নতুন সম্পর্কে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন পুরুষ সঙ্গী।
স্বামী হোক বা স্ত্রী- যে কেউই যদি পরকীয়ায় মজেন, তার কিন্তু বেশ কিছু লক্ষণ থাকবে৷ অনেকে মুখের উপর হাত ঢেকে কথা বলে। সেক্ষেত্রেও, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনও কথা আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকার জন্যেও অনেকে এটা করেন। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি কিছু বলার সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁর হাত মুখের কাছে নিয়ে যায়, তাহলে এটা মিথ্যে বলার একটি চিহ্ন হতে পারে। মনোবিদেরা বলছেন, আসলে সে তখন তার দ্বিধাবোধ বা অস্বস্তি ঢাকার চেষ্টা করে।
চোখ অনেক কথা বলে। কথা বলার সময় কেউ যদি চোখ এড়িয়ে যায়, তবে তা মিথ্যা বলার লক্ষণ বলে মনে করা হয়, কিন্তু কেউ যদি দীর্ঘক্ষণ চোখ না সরিয়ে সোজা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে, তার মানে সে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। উত্তর দেওয়ার সময় অস্বাভাবিকভাবে এদিক-ওদিক তাকানো অস্বস্তির লক্ষণ, যা অনিচ্ছাকৃতভাবে অসত্য বলার পরিস্থিতিকে প্রতিফলিত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞ মার্টিন বলেন যে এটাও একটা মিথ যে মহিলারা মানসিক কারণে প্রতারণা করেন এবং পুরুষরা যৌন কারণে প্রতারণা করেন। এক্ষেত্রে মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল মহিলার উপর করা একটি সমীক্ষাকে উদ্ধৃত করে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন যেখানে দেখা গিয়েছে একটি বড় সংখ্যক মহিলারা স্বীকার করেছেন যে প্রতারণার জন্যই তাঁরা অ্যাশলে ম্যাডিসন ওয়েবসাইট ব্যবহার করেছিলেন।