

পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছে না। করোনার জন্য দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। সরস্বতী পুজোর আগে শুধু যে স্কুল খুলেছে তা নয়, মিলেছে শিক্ষা প্রাঙ্গনে পুজো করার অনুমতিও। আজ তো হলুদ রঙে সেজে ওঠার দিন, আর চেটেপুটে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ার দিন! স্কুল হোক বা বাড়ি, সরস্বতী পুজোর সঙ্গে পেটপুজোর যে একটা বিশেষ যোগ আছে, সে আর অস্বীকার করে লাভ নেই। তাই পুজোর দিন আমরা হাজির হয়েছি কয়েকটি জিভে জল আনা সাবেকি পদের সন্ধান নিয়ে। এখন তৈরি করুন বা পরে, নিজে রাঁধুন বা শরণাপন্ন হন হোম ডেলিভারির, এই সুস্বাদু খাবারের হাত ধরে অন্তত সরস্বতী পুজোর আমেজটা পাতে আসুক!


খিচুড়ি - কিচ্ছু করার নেই! জাস্ট কিচ্ছু করার নেই। এই পদটি যাকে বলে সর্বদাই এক নম্বরে। ভালো সুগন্ধি চাল আর মুগ ডাল মিশিয়ে ঝাল ঝাল সুস্বাদু এই খাবার সরস্বতী পুজো স্পেশ্যাল। রান্না হয়ে গেলে ঠাকুরকে সবার আগে নিবেদন করলেই সেটা খিচুড়ি ভোগ হয়ে যায়!


পায়েস - খিচুড়ির পরেই প্রবল বিক্রমে যিনি দ্বিতীয় নম্বরে থাকেন, তিনি হলেন পায়েস। পায়েসের গন্ধ হল একটা দুর্দান্ত ব্যাপার। টগবগ করে ফুটতে থাকা দুধে সুগন্ধে ভরপুর আতপ চাল ফেলে দিলে পাড়া মাত করে গন্ধ বেরোবেই বেরোবে। আর পায়েসের উপরে কাজু কিশমিশের কারুকাজ থাকলে তো কেয়া বাত!


বুন্দি বা বোঁদে - সরস্বতীপুজোর সঙ্গে বোঁদে না হলে চলে না। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মশাইও তাই দেবীকে মোতিচুর শোভিতং বলে বর্ণনা করেছিলেন মজা করে! এই বোঁদে গোল করে পাকালেই হয়ে যায় লাড্ডু। না হলে এমনিই ঢালাও পাত জুড়ে থাক!


রাজভোগ - হ্যাঁ, এটা একেবারে খাস বাঙালি মিষ্টি। ছানার বল রসে ডুবিয়ে তার সঙ্গে কেশর দিয়ে এই জিভে জল আনা মিষ্টি প্রস্তুত হয়। তবে ওই গুরুজনরা যা বলেন আর কী, রাজভোগ খাবার পাতে থাক, পরীক্ষার খাতায় নয়!


ক্ষীর - পায়েস আর ক্ষীরকে টাকার এপিঠ-ওপিঠ বলা যেতে পারে। মজার বিষয় হল পায়েসকে বাঙালি ব্যতীত বাকিরা ক্ষীর বলেন। আর বাঙালিরা ঘন জ্বাল দেওয়া মিষ্টি দুধের পদকে ক্ষীর বলেন।