

শরীর সুস্থ রাখতে বেশিরভাগ সময়ই কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। কারণ কফির অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু তাও কাজের চাপে বা একাধিক কারণে কফি খেতেই হয় অনেককে। অনেকের আবার কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, যা থেকে তারা বের হতে পারেন না। এমন অভ্যাস থাকলেই ভালো, বলছে নতুন গবেষণা। কারণ জানলে আপনিও অবাক হবেন।


শরীর সুস্থ রাখতে বেশিরভাগ সময়ই কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। কারণ কফির অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু তাও কাজের চাপে বা একাধিক কারণে কফি খেতেই হয় অনেককে। অনেকের আবার কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, যা থেকে তারা বের হতে পারেন না। এমন অভ্যাস থাকলেই ভালো, বলছে নতুন গবেষণা। কারণ জানলে আপনিও অবাক হবেন।


Cerebral Cortex-এ প্রকাশিত সমীক্ষা বলছে, এই গ্রে ম্যাটার মূলত কোষ ও নার্ভ কোষ দিয়ে তৈরি হয়। কফি এই কোষগুলিতে প্রভাব ফেলে এবং এর কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি পরীক্ষা করতে University of Basel, সুইৎজারল্যান্ডের কয়েকজন বিজ্ঞানী ২০ জনের উপরে একটি পরীক্ষা করেন। যাঁরা প্রত্যেকেই প্রতি দিন কফি পান করেন। এই ২০ জনকে প্রতি দিন দু'টি করে কফি ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য বলেন তাঁরা। কফি ট্যাবলেট খাওয়ার দিনগুলিতে অন্য কোনও ট্যাবলেট বা কফিজাতীয় কিছু খেতে নিষেধ করা হয়।


গবেষণায় দু'রকম তথ্য পাওয়া যায়, একটি কফি খাওয়ার ফলে তাঁদের পরিস্থিতি ও কফি না খাওয়ার পরিস্থিতি। এই দুই তথ্য বিবেচনা করে দেখা যায়, গ্রে ম্যাটারে প্রভাব ফেলেছে ক্যাফেইন। গ্রে ম্যাটার আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। তবে, এটা ঘুমে কোনও রকম প্রভাব ফেলে কি না সেটা দেখতে আরও কিছু পরীক্ষা ল্যাবরোটরিতে করা হয়।


তার পর দেখা যায়, যাঁরা কফি খান না ও যাঁরা কফি খান, তাঁদের ঘুমের গভীরতা প্রায় এক। শুধু এই গ্রে ম্যাটারে পার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। যা অন্যান্য শারীরিক ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে গ্রে ম্যাটার ভালো রাখতে, সুস্থ থাকতে কিন্তু কফি খাওয়া যেতে পারে। তবে, অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে এই অভ্যাস শুরু করা উচিৎ!