মুচমুচে মশলাদার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিংবা আলু পরোটা বা লুচির সঙ্গে আলুর তরকারি কে না ভালোবাসেন! কিন্তু ওজন কমানোর ডায়েটে আবার আলু নৈব নৈব চ। তবে আলু খাদ্যতালিকায় রেখেও মেদ কমানো যায়। এমনই একটি কৌশল পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা যা আমাদের শরীরকে ধীরে ধীরে আলুর স্টার্চ হজম করতে সাহায্য করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন বাড়ে না, তেমনই ওজন কমাতেও বাধা দেয় না। তাই সঠিক পদ্ধতিতে আলু খেয়েও সহজেই বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলা যায় (Potato And Weight Loss)।
আলু রান্না করার সঠিক পদ্ধতি
আলু সেদ্ধ করে ঠান্ডা করতে হবে এবং ফ্রিজে রেখে দিতে হবেন। এর ফলে জিআই কমে যাওয়ায় আলু স্বাস্থ্যকর এবং আরও পুষ্টিকর হয়। এবার এই আলুগুলিকে ২৮ গ্রাম পাতলা সাদা ভিনিগারে মেশালে আরও ৩০-৪০ % জিআই মাত্রা কমে যায়। ভিনিগারের পরিবর্তে কয়েক ফোঁটা লেবুও দিতে পারি আমরা। যদিও জিআই মাত্রা কমানোর জন্য ভিনিগার বেশি কার্যকরী। এমনকী ভিনিগার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলে চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে ভিনিগার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
আলুর স্টার্চ কমানোর অন্য পদ্ধতি
১. আলু চাকা করে কেটে গরম জলে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে এবং তার পর রান্না করতে হবে। এতে আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায় এবং হজম ভালো হয়।
২. অন্য কোনও কিছু না দিয়ে আলু সেদ্ধ করে, ভাপিয়ে বা মাইক্রোওয়েভ করে রান্না করা যায়। এই পদ্ধতিতে আলু রান্না করলে নিশ্চিতভাবে এতে নুন, চিনি এবং ফ্যাট খুব কম থাকে (Potato And Weight Loss)।
আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসেচক থাকে যা আলু থেকে ধীর গতিতে গ্লুকোজ বের করে। সাধারণত এই উৎসেচকগুলির গতি বেশি থাকে, কিন্তু আলুর স্টার্চ উৎসেচকগুলির গতি কমিয়ে দেয় এবং দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। সেক্ষেত্রে হজম প্রক্রিয়া ধীরে হয় বলে স্বাভাবিকভাবে দ্রুত রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। স্টার্চ ধীরে ধীরে কমে গেলে আলু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিংবা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হয় না।
আলুর সঙ্গে কি খাওয়া উচিত নয়
আলুর সঙ্গে টুনা মাছ বা চিকেন ব্রেস্ট খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি শরীরের ইনসুলিনের পরিমাণকে দ্বিগুণ করে দেয়। আসলে প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অ্যামিনো অ্যাসিড মেটাবলিক হার বাড়ায়। তাই ডায়েট থেকে বাদ না দিয়ে বরং সঠিকভাবে আলু খাওয়াই ভালো (Potato And Weight Loss)।