দেশে করোনা সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় রাজ্যগুলি বিধিনিষেধ তুলতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ঘোষণা করা হয়েছে যে, নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের স্কুলগুলি আবার চালু হবে। তবে দেশে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য কোনও টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। ফলে স্বভাবতই অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। তাই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুরাও কোভিডে সংক্রামিত হতে পারে, তবে তাদের গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কম গুরুতর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় তাদের মৃত্যুহার কম। শিশুদের মধ্যে লক্ষণগুলিও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় খুব হালকা। তবে কিছু লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
কাশি,জ্বর, বুক ব্যথা, গলা ব্যথা, ত্বকের রঙে পরিবর্তন, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, প্রচন্ড ক্লান্তি বোধ করা, পেশি ব্যথা, মাথাব্যথা, নাক বন্ধ, স্বাদ এবং গন্ধ হারানো ইত্য়াদি। কিছু লক্ষণ গুরুতর হতে পারে, এবং তাদের উপেক্ষা করা উচিত নয়। শিশুর যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, দ্রুত শ্বাস নেয়, কিছু খেতে অসুবিধা হয়, নীল ঠোঁট থাকে, ঘুম থেকে উঠতে না পারে তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।