

আর কয়েকদিন পরেই দোল উৎসব। বসন্তের মরশুমে সবাই মিলে রঙের উৎসবে মেতে উঠবেন। করোনার চোখ রাঙানি থাকলেও নমো নমো করে চলবে রং খেলা। চেনা মুখগুলো আবির আর নানা রঙে ঢেকে যাবে। কিন্তু এই খুশির উৎসবেও সব সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ রং নিয়ে কেরামতি দেখাতে গেলেই হতে পারে বড় বিপদ। এক্ষেত্রে যাঁরা চোখে কনট্যাক্স লেন্স পরেন, তাঁদের সব চেয়ে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক।


দোলের রঙে লুকিয়ে ক্ষতিকর উপাদান - এই রঙগুলির মধ্যে একাধিক রাসায়নিক যৌগ রয়েছে। যা চোখের পাশাপাশি ত্বক ও চুলেরও মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। আজকাল নানা রঙের মধ্যে লিড অক্সাইড, কপার সালফেট, অ্যালুমিনিয়াম ব্রোমাইড, মার্কারি সালফাইড-সহ একাধিক উপাদান মেশানো হয়। এর পাশাপাশি গুঁড়ো রং বা আবিরের মধ্যে অ্যাসবেসটস, সিলিকা, লিড, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। যা চোখের জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর।


চোখের বড় কোনও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে - একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কনট্যাক্ট লেন্স কিন্তু রং শোষণ করে। এর জেরে অনেকক্ষণ পর্যন্ত লেন্সের উপরে এমনকি চোখের আশপাশেও রং লেগে থাকতে পারে। আর নানা ধরনের টক্সিক কেমিক্যাল যুক্ত এই রং চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।


কর্নিয়া রক্ষাকারী এপিথেলিয়ামকে নষ্ট করে দিতে পারে। চোখ ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া, চুলকানি, এলার্জি থেকে শুরু করে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি দৃষ্টিশক্তিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি কেউ কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, তাহলে দোলে এই বিষয়গুলি মেনে চলতে হবে-


রং খেলতে যাওয়ার আগে কনট্যাক্ট লেন্স খুলে যথাস্থানে রেখে দিতে হবে। তার পর রং খেলায় যোগ দিতে হবে।


যদি নিতান্তই কনট্যাক্ট লেন্স পরতে হয়, তাহলে দোলের সময় ডিসপোজেবল লেন্স ব্যবহার করতে হবে। রং খেলা শেষ হয়ে গেলে ওই লেন্স খুলে নতুন লেন্স পরে নিতে হবে।


তবে ডিসপোজেবল লেন্স ব্যবহার করার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। চোখের উপর যাতে কোনও গুঁড়ো রং না পড়ে, সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।


একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। কখনও একই লেন্স ব্যবহার করা যাবে না। পুরোনো লেন্সটি পরিষ্কার করে পুনরায় পরা যাবে না।


এই সমস্ত বিষয় এড়িয়ে গেলে ভালো। এক্ষেত্রে লেন্সের জায়গায় চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে চোখ অনেকটা সুরক্ষিত থাকে।


এর পরেও যদি ভুল করে চোখে রঙ লেগে যায়, তাহলে তড়িঘড়ি স্বচ্ছ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু হাত বা কাপড় দিয়ে চোখ কচলানো যাবে না।