

আম খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙালি আতসকাচে চোখ রেখে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। অথচ রয়েছে হাজার ঠিক-ভুল ধারণাও। কেউ মনে করেন ডায়াবিটিসে রঙ খেতে পারে না, কেউ মনে করেন বেশি আম খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে, ঠিক কতটা আম খাওয়া উচিত, আমের যাবতীয় দোষ-গুণ জেনে নিন।


আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০ এর বেশি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কার্বোহাইড্রেটের সূচক। যত কম গ্লাইসেমিক খাবার খাওয়া হবে ততই শরীরের ভাল। ডায়াবিটিসের রোগী আম খেতে পারেন না, এই তথ্য ঠিক নয়। তবে দুপুরে বা রাতে পেট ভরে খেয়ে আম খেলে তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়


সেক্ষেত্রে নজরে রাখতে হবে শরীরে জমা অতিরিক্ত ক্যালরি যেন ঝরিয়ে ফেলা যায়। পুষ্টিবিদরা বলছেন পাকা মিষ্টি আম একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে প্রতিদিন একটি ছোট আম বা অর্ধেক আম খাওয়া যাবে।


একটি সাধারণ হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের খোসা ও আঁটি ছাড়িয়ে নিলে প্রায় ২০০ গ্রাম অবশিষ্ট থাকে। এতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ১৫০। শর্করা ৩৩.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ২.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৫০০০ মাইক্রোগ্রামের ওপর। আঁশ আছে প্রচুর, ৭ গ্রামের বেশি। পটাশিয়াম ১৯৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩০২ মিলিগ্রাম। এইটা বুঝে নিয়ে ওজন বুঝে ভোজনই শ্রেয়।


রোমকূপের গোড়া পরিষ্কার রাখে আম। ফলে ত্বক সুন্দর থাকে নিয়মিত আম খেলে। আম চোখের জন্যও ভাল। আমের মধ্যে থাকা ভিটামিন রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।


আমে পাওয়া যায় টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড যা শরীরে অ্যালকালাইন বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে।