#নয়াদিল্লি: ভিটামিন বি১২ বা কোবালামিন প্রাথমিক ভাবে প্রাণীজ খাবারে পাওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, এই ভিটামিনটি আবার জল দ্রাব্য অর্থাৎ এটি জলে দ্রবীভূত হতে পারে এবং রক্তের মাধ্যমে সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। চার বছর পর্যন্ত ভিটামিন বি১২ সঞ্চয় করে রাখতে পারে শরীর। তবে কখনও না-কখনও এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিতে পারে। প্রতীকী ছবি ৷
ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি আসলে কী?
যদিও ভিটামিন বি১২ অনেক প্রাণীজ পণ্যে পাওয়া যায়। এমনকী সাপ্লিমেন্ট খেয়েও দেহে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি পূরণ করা যায়। তবে এই ভিটামিনের ঘাটতি কিন্তু একটি সাধারণ সমস্যা। আসলে সাধারণত ভিটামিন-বি সমৃদ্ধ খাবারদাবার কম খাওয়া হলে এবং অ্যানিমিয়া কিংবা গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যা যেমন– পেপটিক আলসার, গ্যাস্ট্রিনোমা বা জোলিঞ্জার-এলিসন সিন্ড্রোম থাকলে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হয়। এ-ছাড়াও কিছু কিছু ধরনের ওষুধ খেলে তা ভিটামিন বি১২ শোষণের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। প্রতীকী ছবি ৷
পায়ের এই দু’টি সমস্যা হলে সাবধান!
শরীরে ভিটামিন বি১২ কম মাত্রায় থাকলে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হল– পায়ে অস্বস্তি কিংবা পা অবশ হয়ে আসার অনুভূতি। আসলে ভিটামিন বি১২ স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় বড়সড় ভূমিকা পালন করে। তাই এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রতীকী ছবি ৷
কাদের সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত?
যাঁদের শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি, তাঁদেরই সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত। ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ মেডিসিনের বক্তব্য অনুযায়ী, ৫০ বছরের উর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের ভিটামিন বি১২ শোষণে বেশি সমস্যা হয় বলে তাঁদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁদের সাপ্লিমেন্ট এবং বি১২ সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। এ-ছাড়াও মাংস, দুগ্ধজাত খাবার না-খেলে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত। প্রতীকী ছবি ৷
ভিটামিন বি১২-এর সবচেয়ে ভালো উৎস:
প্রাণীজ পণ্যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। তাই মাংস, চিকেন, টুনা ও হ্যাডকের মতো মাছ, শেলফিশ ও কাঁকড়ার মতো সামুদ্রিক খাবার, দুধ, পনির ও দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার এবং ডিম ভিটামিন বি১২-এর দারুণ উৎস। এই সব খাবার ডায়েটে যোগ করলে তা এই ঘাটতি পূরণ করে। প্রতীকী ছবি ৷