

২০২০-র মার্চ থেকে করোনা নিয়ে নাজেহাল প্রায় সকলে। করোনার টিকা কবে আসবে, কবে একটু মুক্ত পরিবেশে প্রাণ খুলে শ্বাস নেওয়া যাবে, সেই আশাতেই দিন গুনছিল মানুষ। গত মাসের ১৬ তারিখ থেকে টিকাকরণ শুরু হয়েছে ভারতে। টিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে মানুষের মধ্যে। তবে, যাঁরা টিকা নিচ্ছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বলছেন, তেমন কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু একটা সমস্যা এই টিকাকরণের ক্ষেত্রে একটু ভাবাচ্ছে- তা হল যে হাতে ডোজ দেওয়া হচ্ছে, তাতে ব্যথা হওয়া বা ফুলে থাকা। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এটি সাময়িক। অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রে যা হয়, এর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম কিছু নেই।


কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন মানুষের মধ্যে রয়েছে। অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন, যেহেতু করোনার টিকা দু'টি ডোজে দেওয়া হয়, তাই একই হাতে ব্যথা থাকলে কি পর পর দু'টি ডোজ নেওয়া যেতে পারে? অনেকে আবার জিজ্ঞাসা করছেন, কোন হাতে করোনা টিকা নিলে ভালো হয়? এর কী উত্তর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?


কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন মানুষের মধ্যে রয়েছে। অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন, যেহেতু করোনার টিকা দু'টি ডোজে দেওয়া হয়, তাই একই হাতে ব্যথা থাকলে কি পর পর দু'টি ডোজ নেওয়া যেতে পারে? অনেকে আবার জিজ্ঞাসা করছেন, কোন হাতে করোনা টিকা নিলে ভালো হয়? এর কী উত্তর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?


এবার প্রশ্ন- কেন হয়? চিকিৎসক জানাচ্ছেন, যখনও কাউকে টিকা দেওয়া হচ্ছে, তখনই তার ইমিউন সিস্টেম ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে শিখে যায়। আর টিকা দেওয়ার সময়ে ইমিউন সিস্টেম তার সমস্ত রিসোর্সকে এক জায়গায় আনে। তাই ত্বকে ও ইঞ্জেকশন দেওয়ার জায়গায় জ্বালাভাব ও ব্যথা অনুভব হতে পারে। যা কিছু দিন থাকে। এবং আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়।


এই প্রসঙ্গে অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন যে, তাহলে কোন হাতে এই টিকা নেওয়া যেতে পারে? ড.জৈন বলছেন, কোনও চিকিৎসকই বলতে পারবেন না কোন হাতে করোনার টিকা নিলে ভালো হয়। কারণ এর কোনও উত্তর কারও জানা নেই। আসলে সব পেশিতেই সমা নভাবে কাজ করে বিষয়টা। তাই আলাদা করে কোনও পেশি বেছে নেওয়া যায় না।


তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু টিকা দেওয়ার পর হাতে ব্যথা থাকবে এবং কাজ করতে সমস্যা হতে পারে, তাই যে হাত সব সময়ে চলে অর্থাৎ যে হাতে সব সময়ে কাজ করা হয়, তাতে না নিলেই ভালো। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার বলছেন, যে হাতে বেশি কাজ হয়, তাতে টিকা দেওয়া হলে ব্যথা অনেকটাই তাড়াতাড়ি কমে যেতে পারে।