

রবিবার সকালে হোক বা যেকোনও দিনে, প্রায় প্রত্যেকটা মানুষেরই ঘুম ভাঙে চায়ের সঙ্গে। জলখাবার সেরে আবার সেই চায়ে চুমুক। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে ভিড়। রাজনীতি-খেলাধুলো, সমসাময়িক বিষয় থেকে ছেলে মেয়ের পড়াশোনা, সব আলোচনাই চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে। আর পাশে গাঢ় দুধে চা ফোটার গন্ধ। কারও লাল চা, কারও দুধ চা, কারও আবার চিনি ছাড়া চা। আর এ ভাবেই চা জুড়ে রয়েছে আমাদের জীবনের সঙ্গে।


চা মানেই শুধু দার্জিলিং, অসম বা কেরালা নয়। বিশ্বের বহু আরও বেশকিছু দেশে পাওয়া যায় চা। তালিকায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, কেনিয়া, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, উগান্ডা ও তানজানিয়া। জানা গিয়েছে, এই সবক'টি দেশ মিলে চা দিবস পালনের বিষয়টি ঠিক করে। তারপর ২০০৫ সাল থেকে ১৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজকের দিনে আন্তর্জাতিক চা দিবস (International Tea Day) পালন করা হয়।


অনেক চা প্রেমীর মনেই প্রশ্ন থাকে, কোন চা'টা সবচেয়ে ভালো বা কী করে চায়ের মান বোঝা যাবে। কী দেখেই বা চায়ের গুণগত মান নির্ধারণ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, গুণগত মান বুঝতে দাম ও গন্ধের বাইরেও অনেক বিষয় থাকে। তাঁরা চায়ের মান বুঝতে সাধারণত এই পদ্ধতিগুলি মেনে চলেন -


চায়ের পাত - শুকনো চা পাতার গুণমান বুঝতে একটু অসুবিধা হয়, কারণ পাতা শুকিয়ে গেলে তার রং ও তা হাতে নিয়ে সহজে ধরা যায় না সেটি আসল না নকল। সে ক্ষেত্রে ওই শুকনো পাতার আকার ও রং দেখে বুঝতে হবে। নিম্নমানের চা পাতায় পাতাগুলি ভাঙা ও গুঁড়ো গুঁড়ো থাকবে। চা পাতায় ধুলোর মতো কালো কালো গুঁড়ো থাকবে। Tea bag-এ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের চা দেওয়া হয়, যাতে উপর থেকে বোঝা না যায়।


চায়ের গন্ধ - চায়ের গন্ধ থেকে তার গুণগত মান বুঝতে গেলে শুকনো পাতা থেকে তা বোঝা সম্ভব নয়। কারণ চায়ের গন্ধ ভিজলেই বের হয়। ফলে আগে জলে পাতাটিকে ভিজিয়ে দেখতে হবে। যদি অনেক্ষণ চায়ের গন্ধটা থেকে যায়, তা হলে ধরে নিতে সেটি ভালো মানের চা।


স্বাদ - চা কিছুটা ওয়াইনের মতো, মুখে দিলে অনেক্ষণ পর্যন্ত সেই চায়ের স্বাদ পাওয়া যায়। অনেক্ষণ মুখে চায়ের ফ্লেভারটা থেকে যায়। যদি উচ্চমানের চা হয়, তাহলে এমনটা হতে পারে। আর তা না হলে বুঝতে হবে, মান খারাপ।


মুখে দিলেই বোঝা যাবে - গাঢ় না পাতলা, তা মুখে দিলেই বোঝা যাবে। পাশাপাশি চায়ের স্বাদটা মুখে অনেক্ষণ থাকবে। এমন হলে বুঝতে হবে এটি ভালো মানের চা।