

বাচ্চা (Kids) কী ভাবে খারাপ ভাষা শেখে, তার সূত্রটি আসলে লুকিয়ে আছে যে কোনও কিছু শেখার পদ্ধতির মধ্যেই! ছোটদের তো আর কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ সেই বোধ থাকে না! কাজেই তাদের যে কোনও কিছু শেখা সম্পন্ন হয় নকলনবিশির মধ্যে দিয়ে। আমরা যখন বাড়ির ছোট সদস্যদের ভালো কোনও সহবত শেখাতে চাই, তখন আমরা যা বলি, সেটাই তারা চোখ বুজে অনুসরণ করে চলে। এ ভাবেই শুনতে শুনতে তারা কথা বলতে শেখে, আমাদের দেখিয়ে দেওয়া পদ্ধতি নকল করে হাঁটতে শেখে, ঠিক ভাবে খেতে শেখে, জামাকাপড় পরতে শেখে!


আর এ সবের মধ্যেই দু'-একটা খারাপ জিনিসও দেখতে দেখতে শিখে যায় সে। হয় বাড়ির কোনও সদস্যের অসতর্কতায় অথবা বাইরে কারও কাছ থেকে কিছু দেখে বা শুনে! এ ভাবেই তারা খারাপ ভাষা (Cursing) প্রয়োগ করতে শেখে, কথায় কথায় দিব্যি কাটতে শেখে! কী ভাবে তা ছাড়ানো যায়, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!


নিজেকে সতর্ক হতে হবে - আমরা নিজেরা যদি খারাপ ভাষা (Profanity) ব্যবহার করি, তা হলে বাচ্চারাও সেটাই শিখতে থাকবে। অতএব, নিজেদের সতর্ক থাকতেই হবে। ভুল করেও হাল্কা কোনও মুহূর্তে এমন কিছু তাদের সামনে বলা চলবে না যা তারা রপ্ত করে ফেলার সুযোগ পায়!


বিকল্প পন্থা - বড়দের শব্দ ব্যবহার করার পদ্ধতি একটু আলাদা হয়েই থাকে। বয়স সেই ছাড়টুকু দিয়ে থাকে। তাই যদি কথায় কথায় শিট (Shit) বা এমন কিছু বলার অভ্যেস থাকে, বদলে শুট বা কাছাকাছি যায়, এমন কিছু একটু বদলে নিয়ে উচ্চারণ করা যেতে পারে। তাতে নিজের বলাও হবে, বাচ্চাও খারাপ কিছু শিখবে না।


দিব্যি কাটার সমস্যা - এ ক্ষেত্রে সবার প্রথমে বাচ্চাকে ঠাণ্ডা মাথায় বোঝাতে হবে যে দিব্যি কাটা (Swearing) কেন খারাপ! এটা বললে খারাপ হয়- এমন নিষ্পাপ ভয় দেখানো যেতেই পারে। তাতেও কাজ না হলে হাল্কা বকুনি দেওয়ার পথ তো রয়েছেই!