কথায় বলে, মিথ্যে কথা বলা একটা শিল্প। আবার অনেকে এটাও বিশ্বাস করেন যে, মিথ্যে কথা বলা আসলে একটা স্বভাব। একজনের কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করলেন, কিন্তু পরে জানলেন পুরোটাই একটা সাজানো গোছানো মিথ্যে কথা ছিল। নিশ্চই তখন মাথায় আগুন জ্বলে যায়। তবে জেনে রাখুন, কেউ মিথ্যে কথা বলছে কি না, তা কিন্তু ধরতে পারা খুব সহজ। (প্রতীকী ছবি: Pixabay)
মনোবিজ্ঞানীরা মিথ্যুকদের শরীরি ভাষার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা বলছেন, মিথ্যা বলার একটা বড় লক্ষণ হল, আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় সামনের জন ঘন ঘন মাথা নাড়তে শুরু করবে। জেনে রাখবেন, এররপরেই সে যা বলবে, তা আসলে নিখাদ মিথ্যে। The Body Language of Liars-এর লেখক এবং আচরণগত বিশ্লেষক ডক্টর লিলিয়ান গ্লাস বলেন, "এমন পরিস্থিতিতে মাথা হয় পিছনে কাত হবে বা ডান বা বামে কাত হবে।"(প্রতীকী ছবি: Pixabay)
অনেকে মুখের উপর হাত ঢেকে কথা বলে। সেক্ষেত্রেও, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনও কথা আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকার জন্যেও অনেকে এটা করেন। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি কিছু বলার সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁর হাত মুখের কাছে নিয়ে যায়, তাহলে এটা মিথ্যে বলার একটি চিহ্ন হতে পারে। মনোবিদেরা বলছেন, আসলে সে তখন তার দ্বিধাবোধ বা অস্বস্তি ঢাকার চেষ্টা করে।(প্রতীকী ছবি: Pixabay)
ঘন ঘন পায়ের জায়গা পরিবর্তন করাও মিথ্যে বলার লক্ষণ হতে পারে। যেমন, কোনও একজন প্রথমে ডান পা বাঁ পায়ের উপরে রেখে কথা বলছিলেন, হঠাৎই কথা বলতে বলতে বাম পা ডান পায়ের উপরে তুলে দিলেন। গ্লাসের ব্যাখ্যা, এর অর্থ শরীর শব্দের উপর আধিপত্য কায়েম করার চেষ্টা করছে। পায়ের পরিবর্তন একটি স্পষ্ট লক্ষণ যে, বক্তা নার্ভাস। (প্রতীকী ছবি: Pixabay)
চোখ অনেক কথা বলে। কথা বলার সময় কেউ যদি চোখ এড়িয়ে যায়, তবে তা মিথ্যা বলার লক্ষণ বলে মনে করা হয়, কিন্তু কেউ যদি দীর্ঘক্ষণ চোখ না সরিয়ে সোজা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে, তার মানে সে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। উত্তর দেওয়ার সময় অস্বাভাবিকভাবে এদিক-ওদিক তাকানো অস্বস্তির লক্ষণ, যা অনিচ্ছাকৃতভাবে অসত্য বলার পরিস্থিতিকে প্রতিফলিত করতে পারে।(প্রতীকী ছবি: Pixabay)
অনেক দোনোমোনো করে কথা বললেও তা সত্যি না বলার লক্ষণ হতে পারে। এর মানে হয় ব্যক্তি সঠিক তথ্য জানেন না বা তিনি তার নিজের তথ্যে বিশ্বাস করেন না। একই সঙ্গে অপরাধীদের ক্ষেত্রেও সত্যি কথা বলার সময় এই ধরনের দ্বিধা দেখায়। এ ছাড়া ঠোঁট কামড়ে ধরা বা চেপে ধরাও অস্বস্তির লক্ষণ। কথা বলতে বলতে ঘাম হওয়া মিথ্যা বলার লক্ষণ হতে পারে। তবে মনে রাখবেন, কথা বলার নার্ভাস হলেও এমনটা হতে পারে। (প্রতীকী ছবি: Pixabay)