#নয়াদিল্লি: টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস আক্রান্তরা জানেন, তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা মারাত্মভাবে ওঠানামা করে। তাই এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকেন। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপ থেকেই প্রভাবিত হয়। তাই যাঁরা ডায়াবেটিসের রোগী নন তাঁদের মধ্যেও অনেক সময় হাই ব্লাড সুগার দেখা যায়। তবে এটা সমস্যার আকার নেয় যখন ধারাবাহিকভাবে সুগার হাই থাকে। প্রতীকী ছবি ৷
হাই ব্লাড সুগার লেভেল বা হাইপারগ্লাইসেমিয়াকে এমন একটি অবস্থা হিসাবে উল্লেখ করা হয় যেখানে রক্তে খুব বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে। অ-ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে, এটি মানসিক চাপ বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার কারণে হতে পারে। উল্লেখ্য, খাওয়ার এক থেকে দু ঘণ্টা পর যদি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ১০০-১২৫ এমজি/ডিএল থেকে ১৮০ এমজি/ডিল, বা তার বেশি হয়, তখন সেই অবস্থাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। প্রতীকী ছবি ৷
এমনকী যদি কোনও ব্যক্তির ডায়াবেটিস নাও থাকে তাহলেও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হাই ব্লাড সুগার লেভেল ক্রমাগত বাড়তে থাকলে একটা পর্যায় তা হাতের বাইরে চলে যায়। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। চোখ এবং কিডনির মতো অঙ্গগুলো বিকল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। প্রতীকী ছবি ৷
ওষুধ: ডোপামিন এবং নোরপাইনফ্রিনের মতো কিছু ওষুধ, ট্যাক্রোলিমাস এবং সাইক্লোস্পোরিনের মতো ইমিউনোসপ্রেসেন্ট এবং কর্টিকোস্টেরয়েডগুলির সাহায্যে রক্তে এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাকে ক্রমাগত বাড়তে পারে। শরীরে এনার্জি তৈরি হওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি সব সময় ক্লান্ত বোধ করেন। প্রতীকী ছবি ৷