ভারী ব্রেকফাস্টের গুরুত্ব: প্রাতঃরাশকে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে ধরা হয়। রাতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা উপবাসের পর সকালের স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিযুক্ত ব্রেকফাস্ট বিপাক বাড়াতে এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। দিনের প্রথম খাবার হওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। যার ফলে শরীর প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট পায় ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। প্রতীকী ছবি ৷
সকালের প্রাতঃরাশ না করলে কী হতে পারে? অনেকের ক্ষেত্রেই কাজের ব্যস্ততা, অফিস যাওয়ার তাড়ায় দিনের শুরুতেই ভারী খাবার খাওয়া বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আবার অনেকে ব্রেকফাস্টে বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাতেও ভোগেন। আবার অনেকে মনে করেন, ব্রেকফাস্ট না খেলে ক্যালোরি পুড়বে বেশি। সারারাত খালি পেটে থাকার পর ওজন কমানোর জন্য ব্রেকফাস্ট না করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছু হয় না। যাঁরা সকালের প্রাতঃরাশ করতে চান না, তাঁরা সাধারণত প্রথম ১৪-১৬ দ্রুত এবং পরবর্তী ৮-১০ ঘণ্টা ধীর লয়ে খাবার খেতে পছন্দ করেন। রাতের ডিনারও তাড়াতাড়ি করে নেন। কিন্তু এর ফলে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়, চর্বি পুড়তে সময় বেশি লাগে। প্রতীকী ছবি ৷
ভারী ব্রেকফাস্ট, হালকা ডিনার: এন্ডোক্রাইন সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত গবেষণা অনুসারে, সকালের ভারী জলখাবার ওজন কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। সমীক্ষা অনুসারে, যাঁরা ভারী ডিনার করেন তাঁদের তুলনায় যাঁরা বেশি করেন ব্রেকফাস্ট করেন তাঁদের ক্যাোলরি পোড়ানোর সম্ভাবনা দ্বিগুণ। এছাড়া, মিষ্টি এবং অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি লোভও তাঁদের কম। ফলে সারা দিনে রক্তে শর্করার মাত্রা সুষম থাকে। প্রতীকী ছবি ৷
হালকা ডিনারের অন্যান্য সুবিধা: সকালের ভারী ব্রেকফাস্ট শরীরকে শক্তি যোগায়। সারা দিন কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, ভারী ডিনার করলে বদহজম এবং বুক জ্বালার সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে অবশ্যম্ভাবী ঘুমের ব্যাঘাত। যা ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দেয়। ভারী ব্রেকফাস্ট এবং হালকা ডিনার ওজন কমাতে এবং শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে।প্রতীকী ছবি ৷