Healthy Lifestyle: গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে এই খাবার এবং পানীয়গুলো এড়িয়ে চলতেই হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
সুস্থ থাকতে গরমে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। সেগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করা হল।
গরমকালে অনেকেরই খিদে কমে যায়। সাধারণভাবে মনে হয়, তাপমাত্রার পারদ চড়ায় শরীরে এক ধরনের অস্বস্তি থাকে। সে জন্যই বোধহয় খেতে ইচ্ছে করছে না। এটা ভুল ধারণা। আসল জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের আমূল পরিবর্তনই এর জন্য দায়ী। আয়ুর্বেদ অনুসারে, গ্রীষ্মকাল পিত্তের ঋতু। তাই এই সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হয়, যাতে পিত্ত দোষ না বাড়ে। বেশি করে ক্ষারযুক্ত এবং জলের ভাগ বেশি এমন ফল, সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই সুস্থ থাকতে গরমে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। সেগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করা হল।
advertisement
আইসক্রিম: এটা শুনে উদ্ভট মনে হতে পারে কিন্তু গ্রীষ্মকালে আইসক্রিম এড়িয়ে যাওয়াই উচিত, বিশেষ করে দোকান থেকে কেনা আইসক্রিম। এতে উচ্চ পরিমাণে চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা হজমের সময় শরীরকে গরম করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বাড়িতে তৈরি আইসক্রিম খাওয়ার পরামর্শ দেন, সেতাও যখন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসার পরে আইসক্রিম খাওয়ার ফলে গলা ব্যথা এবং জ্বর হতে পারে।
advertisement
ভাজা খাবার: গরমের মধ্যে যখন বৃষ্টি হয়, শরীর-মন জুড়িয়ে যায়। এক কাপ চা আর পকোড়া নিয়ে জানলার ধারে বসে বৃষ্টি দেখতে উন্মুখ হয়ে ওঠে মন। কিন্তু এই বৃষ্টি কিছু সময়ের জন্য। তাপমাত্রা আবার বাড়তে থাকে। তাই এই সময় ভাজা খাবার হজম হতে দেরি হয়। শরীরকে ফুলিয়ে দেয়। তাছাড়া আর্দ্র দিনে ভাজা খাবার ত্বককে তৈলাক্ত করে। বিশেষ করে ব্রনর সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁদের জন্য এটা বিষবৎ। তাছাড়া পাচনতন্ত্রেও সমস্যা হয়।
advertisement
অতিরিক্ত আম: কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। আমের এক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। আম রক্তে চিনির মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই যাঁরা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত, তাঁদের পক্ষে আম খাওয়া মোটেই নিরাপদ নয়। হজমের সমস্যা বাড়তে পারে। আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর ক্যালোরি। যাঁরা স্থূলতা বা ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের আম এড়িয়ে চলাই ভাল।
advertisement
advertisement
advertisement
