

বলা হয়, মানুষের সবথেকে কাছের বন্ধু বই! যত অবসাদ, টেনশনের মধ্যে দিয়েই যান না কেন, বই পড়লে মন অনেকটা হালকা হয়ে যায়। গবেষণা বলছে বই পড়লে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, পড়ার সময় মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। মস্তিষ্কের জটিল স্নায়ুতে সত্যিই যে বই পড়ার প্রভাব পড়ে, তা এমআরআই (MRI) স্ক্যানের মাধ্যমে প্রমাণিতত। বই পড়লে মস্তিষ্কের কিছু অংশ বিভিন্ন তথ্যকে অনেক দ্রুত প্রসেস করতে পারে।


শরীরের বিভিন্ন পেশি সুগঠিত রাখার জন্য বা হাড় ভাল রাখার জন্য এক্সারসাইজ করতে হয়। মস্তিষ্ক ক্রাঞ্চ বা স্কোয়াট করতে পারে না। কিন্তু মস্তিষ্কেরও ব্যায়াম লাগে। বই পড়া হল তেমনি একটি এক্সারসাইজ। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পায়।


আমাদের কগনিটিভ ক্ষমতা (Cognitive Power) বা জ্ঞান আহরণের ক্ষমতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পায়। বই পড়ার অভ্যেস থাকলে এটা অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব।


২০১৮ সালে চিনের একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে , বয়সজনিত রোগ ডিমেনশিয়াও বই পড়ার মাধ্যমে রোধ করা সম্ভব। তা ছাড়া এমনিতেও বয়স বাড়লে মনঃসংযোগ ও স্মৃতি দু'টোই কমে যায়। সেক্ষেত্রে নিয়মিত পড়াশোনা করলে মস্তিষ্কের কোষ জ্ঞান আহরণ করতে পারে এবং কগনিটিভ পাওয়ার অনেকটাই শক্তিশালী থাকে।


প্রতি দিন অন্তত ৩০ মিনিট করে বই পড়লে শুধু যে শরীর ভাল থাকে তাই নয়, মানসিক চাপ বা স্ট্রেসও অনেকটা কমে। দেখা গিয়েছে, বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কমানোর জন্য যোগ ব্যায়াম করা, মজাদার ভিডিও দেখা এগুলো সবই খুব রিল্যাক্সিং।