Health Tips: তাপপ্রবাহে মারণ রোগের হাতছানি, দুর্ধর্ষ লড়াইয়ের জোরদার টিপস

#নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ (Heatwave)। আর এর থেকে খানিক রক্ষা পেতে ইতিমধ্যেই গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজে। কারণ গ্রীষ্মের দাবদাহে সবথেকে চিন্তার বিষয় হচ্ছে, এই সময় বিভিন্ন রোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখা যায়। প্রতীকী ছবি ৷

মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শীতের মরসুম পুরোপুরি বিদায় নিতেই যেন পূর্ণ উদ্যমে হাজির হয় গ্রীষ্ম। মরসুম বদলের ফলস্বরূপ বিভিন্ন রোগ তো দেখা দেয়ই, সেই সঙ্গে তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের (Heat Stroke) মতো রোগেরও সম্ভাবনা বেড়ে যায় কখনও কখনও এই সমস্যা প্রাণঘাতী পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে। দেখে নেওয়া যাক, গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন রোগের তালিকা এবং তা থেকে বাঁচার উপায়। প্রতীকী ছবি ৷

হিট স্ট্রোক:
তাপ প্রবাহের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ থাকলে আচমকাই দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক রকম বেড়ে যেতে পারে। যাকে হাইপারথারমিয়া বলা হয় এবং যার উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হল- মাথা ব্যথা, বমি-বমি ভাব, মাথা ঘোরা, পেশিতে খিঁচ, জ্বর এবং দ্রুত হৃদস্পন্দন। প্রতীকী ছবি ৷

খাদ্যে বিষক্রিয়া:
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীর কারণে খাদ্যবাহিত বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। আসলে গরমকালে আর্দ্র আবহাওয়ায় খাদ্যে জন্মাতে পারে জীবাণু। সেই খাবার খেলেই ফুড পয়জনিং বা বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। প্রতীকী ছবি ৷

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস:
এক্ষেত্রে চোখের কনজাংটিভায় ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জি হয়। যা প্রায় ৪-৭ দিন মতো থাকে। আর এই ছোঁয়াচে রোগ এক জনের হলে পরিবারের সকলেই তাতে আক্রান্ত হন। প্রতীকী ছবি ৷

সর্দি-কাশি:
গরমের দিনে বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা জল খাওয়া বা এসি-তে থাকার কারণে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রতীকী ছবি ৷

সান বার্ন:
সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে এলে ত্বকে জ্বালা-পোড়া ভাব তৈরি হয়। দেখা দেয় লালচে ভাব এবং র‍্যাশের মতো সমস্যাও। প্রতীকী ছবি ৷

গ্রীষ্মকালীন ডিপ্রেশন:
আবহাওয়ায় পরিবর্তন মনে ঝঞ্ঝাটের উদ্রেক করে। এই সময় বহু মানুষের মধ্যে মুড স্যুয়িংয়ের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। এছাড়াও গরমে হাঁপানি, হাম, বসন্ত, মাম্পস, জ্বর এবং জলবাহিত নানা রকম রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার সম্ভাবনা থাকে। প্রতীকী ছবি ৷

গ্রীষ্মকালীন রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায়:
প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। এছাড়াও শরীরকে হাইড্রেডেট রাখতে বাইরে বেরোলে অথবা ঘরে থাকলেও ডাবের জল, ঘোল, লেবু জলের মতো পানীয় খেতে হবে। দিনে অন্তত ১০-১২ গ্লাস পানীয় খেতে হবে ৷ হালকা রঙের ঢিলেঢালা নরম সুতির পোশাক পরা উচিত। আঁটোসাটো গাঢ় রঙের পোশাক পরলে অস্বস্তি হতে পারে। প্রতীকী ছ৷বি ৷

বাইরে বেরোলে ছায়ায় বসতে হবে অথবা এক্সারসাইজ করার সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। রোদ থেকে ফিরে অথবা সান বার্ন দেখা দিলে আইস প্যাক লাগাতে হবে। এই সময় হ্যান্ড হাইজিন মেনে চলতে হবে। রান্নার সময়, শৌচকর্মের পর, বাইরে থেকে এসে বারবার হাত ধুতে হবে। প্রতীকী ছবি ৷

কাটা ফল, তেলে ভাজা অথবা আধ সেদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই সময় তাজা ফল ও শাক-সবজি বেশি করে খেতে হয়। বেলা বাড়লে তাপপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচতে ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ রাখতে হবে। প্রতীকী ছবি ৷