

করোনার কাঁটা যেন এসে বিঁধছে গলায়। এখন গড়ে ১২০০ জনেরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এই রাজ্যে। এ দিকে শীতকাল আসতেই থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গুও। কী ধরনের সতর্কতা জরুরি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে? জানুন-


অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা জমা জলে ডিম পাড়ে। এই ডিম পাড়াটাই আটকাতে হবে। আশপাশে থাকা ফুলের টব, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি থাকলে সতর্ক থাকুন। জল জমতে দেওয়া যাবে না।


সদ্যজাতর জন্য সব সময়েই মশারি রাখতে হবে। রাতে ঘুমের সময় আপনিও মশারি ব্যবহার করুন। দরজা জানালায় নেট বসাতে পারেন।


মশার ওষুধ বদলে বদলে ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে। কারণ অনেক সময় একই ওষুধ ব্যবহার করলে মশা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে নিজের শরীরে।


অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন মানুষের ঘামের গন্ধ, পরনের পোশাকের রং ডেঙ্গির জীবাণুবাহক এডিস ইজিপ্টাই স্ত্রী-মশাকে আকর্ষিত করে। তাঁর কথায়, মানব শরীর থেকে যে কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে আসে, তার সঙ্গে মিশে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ইউরিক অ্যাসিড। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা যেতে পারে কার্বন ডাই অক্সাইড ককটেল। এই মিশ্র গন্ধ এডিস ইজিপ্ট মশাকে আকর্ষিত করে। কেউ যদি কোনও গাঢ় রঙের পোশাক পরে থাকেন, ঘামতে থাকেন, তা হলে এডিস ইজিপ্টাই স্ত্রী-মশার কামড়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি।


জ্বর হলেই তিনদিনের সময়সীমা না নিয়ে প্রথমেই রক্তপরীক্ষা করান। ডেঙ্গির NS1, ম্যালেরিয়া এবং সাধারণ সংক্রমণের জন্য রক্ত পরীক্ষা করান।