রোজকার জীবনে সহজ কয়েকটা পরিবর্তন আনুন, ডায়াবিটিসের মোকাবিলা করা সহজ হবে
চিকিৎসক ও গবেষকদের দাবি, দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটা অভ্যাসের পরিবর্তণ আনলেই ডায়াবিটিস হওয়া থেকে নিজেকে অনেকটা বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন, বা বলা যায়, ' সেফটি ওয়াল' তৈরি করতে পারবেন--


দিনে দিনে মারণ রোগের আকার নিচ্ছে ডায়াবিটিস। চিকিৎসকরা একে সাইলেন্ট কিলার আখ্যা দিয়েছেন। অজান্তেই শরীরে বাসা বেঁধে, একটু একটু করে শেষ করে দিচ্ছে একটা তরতাজা প্রাণ! ৯৫ শতাংশ ডায়াবিটিক রোগি টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন। চিকিৎসক ও গবেষকদের দাবি, দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটা অভ্যাসের পরিবর্তণ আনলেই ডায়াবিটিস হওয়া থেকে নিজেকে অনেকটা বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন, বা বলা যায়, সেফটি ওয়াল তৈরি করতে পারবেন--


অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত এমনটা হলে শরীরে বাসা বাঁধবে ডায়াবিটিস। কাজেই ঠিক সময়ে খাওয়া–দাওয়া করুন ।


এই প্রজন্মর অনেকেই নাইট ডিউটি করেন। সমীক্ষা বলছে বছর খানেক টানা রাতে কাজ করলে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বাড়ে ১৭ শতাংশ, ৩–৯ বছর করলে ২৩ শতাংশ ও ১০ বছর পেরিয়ে গেলে ৪২ শতাংশের মতো ৷ এর প্রধান কারণ মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যাওয়া, যার ফলে ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, হানা দেয় ডায়াবিটিস। কাজেই, প্রথম থেকে সাবধান হন! রাতের শিফটে কাজ করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো মেলাটোনিন খান ।


সফট ড্রিংস-এ থাকে কর্ন সিরাপ, যা নিয়মিত খেলে রক্তে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। প্যাকেজড ফ্রুট ড্রিংস-এও প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। নিয়মিত খেলে ডায়াবিটিস হওয়া কেউ রুখতে পারবে না!


ব্রাউন সুগার, মধু বা গুড়ের ক্যালরি চিনির থেকে কম ৷ কাজেই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে চিনির বদলে মাঝেমধ্যে এ'সব খেতে পারেন।


আলু খাওয়া মানেই ডায়াবিটিস-- এটা ভুল ধারণা! ১০০ গ্রাম আলুতে যেখানে আছে ১০০ ক্যালরি, সেখানে ১০০ গ্রাম চাল–আটায় রয়েছে ৩৪০ ক্যালরি। তার উপর আলুতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা সুগার কমাতে সাহায্য করে ৷ তবে আলুর গ্লাইসিমিক ইনডেক্স বেশি, অর্থাৎ খেলে চট করে সুগার বেড়ে যায় ৷ কাজেই ইচ্ছে হলে অল্প পরিমাণে আলু খান, খোসা সমেত বা অন্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে ৷ ভাজা বা আলুসেদ্ধ নৈব নৈব চ!


ব্লাডপ্রেশার বেশি হলে কম কফি খান । কারণ, রক্তচাপ বেশি হলে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা এমনিই বাড়ে, তার উপর কফি খাওয়ার ফলে গ্লুকোজ মেটাবলিজম-এ গোলমাল হলে আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। ধূমপানের কারণেও ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পায়।জন্ম নেয় ডায়াবিটিস হওয়ার সম্ভাবনাও।