

আমরা সকলেই বিভিন্ন ধরনের মিউজিয়াম দেখে এসেছি ৷ গোটা বিশ্বে সায়েন্স, ক্রাফ্ট, যুদ্ধ, মোমের মিউজিয়ান অত্যন্ত জনপ্রিয় ৷ কিন্তু ভ্যাজাইনা মিউজিয়াম সম্বন্ধে কী আপনি জানেন বা দেখেছেন ? এটি এমন একটি মিউজিয়াম যার সম্বন্ধে অনেকেই না তো কিছু শুনেছেন না কিছু জানেন ৷ বিশ্বের প্রথম ভ্যাজাইনা মিউজিয়াম খোলা হয়েছে লন্ডনে ৷ দ্য নিই ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মিউজিয়াম খোলার মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে মহিলাদের প্রাইভেট পার্ট অথার্ৎ ভ্যাজাইনা সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করা ও শিক্ষিত করা ৷ পাশাপাশি ভ্যাজাইনা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের রোগ সম্বন্ধে সচেতন করাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য ৷


এই মিউজিয়ামের ফাউন্ডার ফ্লোরেন্স সেক্টর ৷ এই মিউজিয়াম তৈরি করতে প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে ৷ এই টাকা ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে তোলা হয়েছে ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে ব্যাপক হারে প্রচার চালানো হয়েছে ৷ ইনস্টাগ্রামেও চালু করা হয়েছে প্রচার ৷ নিজের ইনস্টাগ্রাম ও ওয়েবসাইটও রয়েছে ৷ বেশিরভাগ মানুষ শরীরের এই অংশ নিয়ে কথা বা সমস্যার কথা বলতে লজ্জা পান ৷ তবে এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এবার থেকে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে ৷


এখানে মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা, রোগ নিয়ে আলোচনা করা হবে ৷ পাশাপাশি নিজেদের প্রাইভেট পার্ট সম্বন্ধে এবার থেকে সহজে কথা বলার সাহস পাবেন মহিলারা ৷ এছাড়া ভ্যাজাইনা সংক্রান্ত যা যা মিথ রয়েছে তাও দূর হয়ে যাবে ৷ মিউজিয়ামের ফাউন্ডার জানিয়েছেন, কেবল মহিলারা নয় প্রত্যেক মানুষের এই বিষয়ে সচেতন থাকা উচিৎ ৷


আইসল্যান্ডে পেনিস নিয়ে মিউজিয়াম তৈরি হওয়ার পর ফ্লোরেন্স ভ্যাজাইনা মিউজিয়াম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ ২০১৭ সালে এই বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ৷ আইসল্যান্ডের মিউজিয়ামে সমস্ত রকমের জন্তুর পেনিস ডিসপ্লে করা হয়েছে ৷ মাছ, জন্তু থেকে মানুষের লিঙ্গ এই মিউজিয়ামে সংগ্রহ করা রয়েছে ৷ এরপরই ফ্লোরেন্স মনে করেন যে মহিলাদের ক্ষেত্রেও এমন হওয়া উচিৎ ৷