

কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। কোথাও বেরোতে ভালো লাগছে না। সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করছেন। তা হলে আপনার শরীরে কিছু ঘাটতি রয়েছে। সাধারণত অপর্যাপ্ত ঘুম, খাবার আপনার ক্লান্তির কারণ হতে পারে। তবে শুধু এগুলি নয়, শরীরে কয়েকটি ভিটামিনের ঘাটতিও আপনাকে এই ক্লান্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে। যদি দীর্ঘ দিন ধরে একই সমস্যা চলে, তা হলে সচেতন হন। দীর্ঘ দিন ধরে ভিটামিনের ঘাটতি, ক্লান্তি আপনার শরীরে অন্য সমস্যাগুলি বাড়িয়ে তুলতে পারে।


আপনার ক্লান্তির জন্য দায়ী হতে পারে এই ভিটামিনগুলির ঘাটতি:ভিটামিন বি১২ডিএনএ গঠন ও লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে ভিটামিন বি১২। পাশাপাশি এই ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে। যদি আপনার শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়, তা হলে সারা দিন আলস্য গ্রাস করবে। শরীরে বি১২-এর ঘাটতির জেরে দুর্বলতা অনুভব হতে পারে। যে হেতু বি১২ কম থাকলে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সমস্যা হয়, তাই শরীরে অক্সিজেন সরবরাহেও সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে বি১২-র পরিমাণ বাড়াতে তাই মাছ, মাংস, ডিম, ঢেঁকি ছাটা চাল ও বি-কমপ্লেক্স সম্বৃদ্ধ শাক-সবজি খান।


ভিটামিন ডিশরীরের প্রক্রিয়াগুলিকে সতেজ ও সচল রাখতে ভিটামিন ডি-র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সূর্যরশ্মি থেকেই শরীরে প্রবেশ করে এই ভিটামিন। এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতকে আরও মজবুত করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও ভিটামিন ডি-র ভূমিকা অপরিসীম। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা কম হলে, আলস্য ঘিরে ধরতে পারে আপনাকে। এই ভিটামিনের সবচেয়ে বড় উৎস হল সূর্যালোক। এ ছাড়াও স্যামন মাছ, কড লিভার তেল, ডিমের কুসুম, মাশরুম ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খান।


ভিটামিন সিশরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সবচেয়ে জরুরি ভিটামিন সি। ত্বক ও চুল ভালো রাখতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী। শরীরে যদি ভিটামিন সি-র ঘাটতি হয় তা হলে অসম্ভব দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা গঠনে আয়রন অন্যতম উপাদান। আপনার ডায়েট থেকে আয়রন শোষণ ও তার যথাযথ প্রয়োগে সাহায্য করে এই ভিটামিন। তাই ক্লান্তি দূর করে শরীরকে সতেজ রাখে ভিটামিন সি। শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে প্রয়োজন অনুযায়ী টক জাতীয় ফল, কিউই, আনারস, লেবু, পেঁপে, স্ট্রবেরি, তরমুজ ও আম খান।