

*মা হওয়ার অনুভূতি পৃথিবীর সব থেকে মধুর অনুভূতি। এই সময়ে এক জন গর্ভবতী নারীর শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে অনেক পরিবর্তন আসে। আনন্দে মেতে ওঠার পাশাপাশি সে তাঁর সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তাই গর্ভাবস্থায় হালকা শরীরচর্চা করার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু অবশ্যই ডাক্তার বা ফিজিক্যাল ট্রেইনারের পরামর্শ নিয়ে যোগ-ব্যয়াম করা উচিৎ। সংগৃহীত ছবি।


*মানসিক উদ্বেগ কমায়: এক জন প্রেগন্যান্ট মহিলার প্রথমেই শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তার প্রথম উদাহরণ হল কোমরে যন্ত্রণা (ব্যাক পেন)। সেই সঙ্গে মুড সুইং, উদ্বেগ, রাগ ইত্যাদি সমস্যাগুলি লেগেই থাকে। তাই অনুলম্ব-বিলম্ব (প্রানায়াম), বজ্রাসন এই ধরনের ব্যায়ামগুলি করতে পারেন। ২০১২ সালে মিশিগান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সমীক্ষা চালায়। সেখানে বলা হয়েছে গর্ভাবস্থায় হতাশা থেকে মুক্তি পেতে মেডিটেশন খুবই কার্যকরী। সংগৃহীত ছবি।


*নর্ম্যাল প্রসবে সাহায্য করে: ২০১২ সালে জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন –র গবেষকরা সমীক্ষা করে দেখেন, যোগ-ব্যায়াম শিশুর ওজন বাড়ায় এবং শিশুটিকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তোলে। অনেক মহিলার গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করার (ডায়াবেটিস) পরিমান বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে কোমর-পিঠের পেশি শিথিল হয় এবং স্বাভাবিক প্রসবে সহায়তা করে। সংগৃহীত ছবি।


*গর্ভকালীন শারীরিক সমস্যা: প্রথম বার যারা মা হবেন, তাঁদের মর্নিং সিকনেস, বমি বমি ভাব, খাওয়ায় অরুচি এই সমস্যা গুলি ঘন ঘন হতে থাকে। ফলে পরিবর্তনগুলির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধে হয়। শুরুর দিক থেকেই তাই শরীরচর্চা করলে এই সমস্যাগুলি কম হয়। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ও অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থায় যোগ-নিদ্রাসন, শবাসন ব্যায়াম গুলি করা যায়। সংগৃহীত ছবি।


*লেবার যন্ত্রণা: প্রথমবার যারা মা হবেন তাঁদের কাছে প্রসবের ধারণা ভীতিজনক হতে পারে। তাই যোগ-ব্যায়ামের মাধ্যমে কীভাবে পা স্ট্রেচ করতে হয়, লেবার যন্ত্রণা হওয়ার সময় কীভাবে নিঃশ্বাস নিতে হয়, সেই সম্পর্কে আগাম ধারণা পাওয়া যায়। এর জন্য ত্রিকোনাসন, বন্ধকোণাসন ব্যায়াম গুলি করা যায়। সংগৃহীত ছবি।