

টাকাও বাঁচবে আর অবসরও কাটবে দারুণ ভাবে। শুধুমাত্র একটু বুদ্ধি খাটালেই। বিশেষ করে এই করোনা-আবহে তো আরও ভালো করে মনোযোগ দিতে পারেন এই কাজে। বাড়ির ব্যালকনি, জানালার ধার কিংবা ডাইনিং টেবিলের এক কোণেই ছোট ছোট টবে লাগিয়ে ফেলতে পারেন তুলসী, পুদিনা, ধনেপাতা। ভেষজগুণের কথা বাদই দিন, স্রেফ রান্নায় স্বাদ জোগাতেও এদের জুড়ি মেলা ভার! আসুন জেনে নেওয়া যাক, বাড়ির অল্প জায়গার মধ্যে কোন কোন গাছগুলি লাগাতে পারেন আপনি!


বেসিল - বেসিল একাধিক ভেষজ গুণসম্পন্ন। বহু রোগের ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার হয়। আর আপনার রান্নাতেও আলাদা স্বাদ-গন্ধ যোগ করতে পারে সঠিক পরিমাণ বেসিল পাতা। এ ক্ষেত্রে স্যালাড কিংবা ভাজার সময় বেসিলের পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এই গাছ লাগানো খুবই সহজ। ছোটো কোনও পাত্রে লাগান। এবং ব্যালকনিতে যেখানে সূর্যের আলো পড়ে, সেখানে ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্থা করুন।


ধনেপাতা - চাইনিজ ক্যুইজিনে অধিকাংশ সময়ই ধনেপাতা দিয়ে ফিনিশিং টাচ দেওয়া হয়। ভারতীয় ডিশগুলিতেও এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। বিভিন্ন কারি, চাটনি এমনকি বাঙালির প্রিয় মশলামুড়িতেও ধনেপাতা দেওয়া হয়। তাই আপনার ডাইনিং টেবিলের এক কোণে একটি ছোট পাত্রে অল্প মাটি নিয়ে ধনেপাতার চাষ করে ফেলুন।


চাইভস - অনেক নর্থ-ইন্ডিয়ান ডিশে পেঁয়াজ বা রসুনের জায়গায় এই চাইভস ব্যবহার করা হয়। ঘরে এর সবজি বানিয়েও খাওয়া যায়। তা ছাড়া আলু দিয়ে কোনও তরকারি কিংবা ডিম বা মাছের ঝোলেও দেওয়া যেতে পারে চাইভস। এ ছাড়াও নানা স্যুপ ও স্যালাডে ব্যবহার করা যেতে পারে এটি। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ছোট একটা টব বা কার্ডবোর্ডের বাক্স নিন এবং তাতে প্রয়োজন মতো মাটি-জল দিন। তার পর বীজ পুঁততে পারেন বা ছোটো গাছ লাগিয়ে ফেলুন।


পুদিনা - পুদিনা খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে, স্বাদ-গন্ধ যোগ করতে পুদিনার জুড়ি মেলা ভার। শরীরের পক্ষেও উপকারী এটি। বাড়ির উঠোনে, ব্যালকনিতে ছোট কোনও জায়গার মধ্যে পুদিনার গাছ লাগান। তবে শুধু রান্না নয়, মোহিতো, মিন্ট জুস, আইস-টি বানাতে গিয়েও পুদিনার পাতা দিতে পারেন। পেট ঠাণ্ডা রাখতেও পুদিনা অত্যন্ত কার্যকরী।


লেমনগ্রাস - লেমনগ্রাসে লেবুর একটা ফ্লেভার রয়েছে। তাই চা তৈরির সময় এই লেমনগ্রাস ব্যবহার করতে পারেন। বাড়ির ভিতরের তুলনায় বাইরে এটি ভালো ভাবে বেড়ে ওঠে। তবে বাইরে যদি একেবারেই জায়গা না থাকে তা হলে ব্যালকনিতেই চাষ করতে পারেন লেমনগ্রাস। একটা টবে লেমনগ্রাসের বীজ পুঁতে দিন। সময় মতো জল দিন। অল্প দিনেই বেড়ে উঠবে গাছ।