#কলকাতা: শারীরিক ওজন কমানো একটি কঠিন প্রক্রিয়া এবং যদি পেটের চারিদিকের চর্বি হ্রাসের প্রশ্ন আসে তবে তা যেন আরও দুঃসাধ্য হয়ে যায়। ভিসারাল ফ্যাট নামে পরিচিত এই জেদি চর্বি সাধারণত পেটের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চারপাশে ছড়িয়ে থাকে এবং সবসময় বোঝা যায় না। প্রাথমিকভাবে অনুভব করা না গেলেও শরীরে এই চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটের সাহায্যে এই ফ্যাট থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। প্রতীকী ছবি ৷
ডায়েটে কী কী খাবার যোগ করতে হবে?
ওজন কমানোর ডায়েটে কম কার্বোহাইড্রেট এবং উচ্চ মনো স্যাচুরেটেড ও পলি স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার রাখতে হবে। বাদাম, মাছ, জলপাই এবং অ্যাভোকাডো ফলে এই উপাদানগুলি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত ডায়েটে ওজন হ্রাসের সম্ভাবনা উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত ডায়েটের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতীকী ছবি ৷
কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েট
উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য শরীরের জন্য দ্রুত শক্তির যোগান দেয়। অত্যাধিক কার্বোহাইড্রেটের উপস্থিতি ইনসুলিন নিঃসরণ করতে বাধ্য করে যার ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ফ্যাট হিসেবে কোষে প্রবেশ করে। এই ফ্যাটই চর্বি হিসেবে শরীরে সঞ্চিত থেকে যায়। প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেটও একই ভাবে শরীরে ক্রিয়া করে। এই কারণে খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ না কমিয়ে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে ডায়েটে বেশি বেশি উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার রাখতে হবে। প্রতীকী ছবি ৷
কার্বোহাইড্রেট-ইনসুলিন মডেল
কার্বোহাইড্রেট-ইনসুলিন মডেল অনুযায়ী, খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার রাখলে ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করা যায়। যাদের উচ্চ মাত্রায় ইনসুলিন নিঃসরণের সমস্যা রয়েছে তাদের ওজন কমানোর জন্য চিকিৎসকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। এই মডেলে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কম কার্বোহাইড্রেট ও উচ্চ ফ্যাট সমৃদ্ধ ডায়েটে ক্যালোরি কম হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ কার্বোহাইড্রেট ও কম ফ্যাটযুক্ত ডায়েটের তুলনায় অনেকগুণ বেশি। এছাড়া, শরীরে অত্যাধিক কার্বোহাইড্রেটের উপস্থিতি ক্যালোরি বার্ন করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। প্রতীকী ছবি ৷