

ওজন নিয়ে সমস্যায় থাকেন অনেকে। ওজন কমাতে তাই একাধিক পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাঁরা। অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা থাকে, খাবার বন্ধ করলে বা কমিয়ে দিলে ওজন কমে যায়। কিন্তু চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই বলে থাকেন, খাবার বন্ধ করলে বা এক বেলা না খেলে মোটেও ওজন কমে না। উল্টে এতে হজমে সমস্যা তৈরি হয় এবং তা মেটাবলিজমে প্রভাব ফেলে। বরং, খাবার বন্ধ না করে এই নিয়মগুলো মেনে চললে কমতে পারে ওজন। ভালো থাকতে পারে আপনার পেটও।


ওজন কমাতে বা সুস্থ থাকতে সবার প্রথম খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। সুষম আহার এক্ষেত্রে অনেকটা সাহায্য করে। জাঙ্ক ফুড থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে এবং তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে হবে। এই সব খাবারের বদলে ডায়েটে বেশি করে সবজি ও শাক অ্যাড করতে হবে।


বাইরের খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি খাবার খেলে পেট ও শরীর দুই'ই ভালো থাকবে। বেশি করে দুধ, দই, পিনাট পাটার খেলে ওজন কমতে পারে। ক্রিম, মাখন বা মেয়োনিজ না খাওয়াই ভালো।বেশি করে প্রোটিন ও ফাইবারজাতীয় খাবার খেতে হবে। এতে ওজন তাড়াতাড়ি কমে। ফল-দই, চিকেন-সবজি, ডিম-আটার পাউরুটি, রাজমা-সবজি এই সব খেলে পেট ভালো থাকবে। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।


সূর্য ডোবার পর খাবার না খাওয়াই ভালো - অনেকেরই অভ্যাস থাকে অনেক রাত করে খাওয়ার। কিন্তু চিকিৎসকরা বার বার বলছেন, সূর্য ডোবার পর খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। খুব বেশি হলে সন্ধে ৭টা, তার পর আর কোনও খাবার না খাওয়াই উচিৎ হবে। এতে হজম তাড়াতাড়ি হয় এবং ওজনও কমে।


লাইফস্টাইলে পরিবর্তন - এক জায়গায় বসে বেশিক্ষণ কাজ না করে একটু উঠে বসা বা ঘুরে বেড়ানো প্রয়োজন। কাজের ফাঁকেই মাঝে মাঝে হাত ও পা স্ট্রেচ করে নেওয়া ভালো। পাশাপাশি প্রতি দিন ৩০ মিনিট হাঁটা ও ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরি। এতে ওজন কমে।


কফি ও মিষ্টি পানীয় বর্জন করতে হবে - কফি খাওয়া কম করতে হবে ও মিষ্টি পানীয়, বিশেষ করে কোল্ড ড্রিঙ্কস বা প্যাকেজ ড্রিঙ্কস কমিয়ে ফেলতে হবে। বদলে ফলের রস, ডাবের জল ইত্যাদি খেলে ভালো। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণ হয়, ডায়াবেটিস বা ওবেসিটিও কমে।