

সামান্য কিছু খেলেই অনেকের অ্যাসিডিটি হয়ে যায়। অনেকেই বলে থাকে, জল খেলেও অ্যাসিডিটি হয়। কিছু মানুষের ছোট থেকেই এই সমস্যা থাকে। কিছুজনের খাদ্যাভ্য়াসের জন্য এই সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে, স্টমাকে বা পাকস্থলীতে যখন হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, তখন পেটে জ্বালাভাব, গলা জ্বালা করা বা বুকে হালকা ব্যথা অনুভব হতে পারে এবং এর থেকেই বোঝা যায়, অ্যাসিডির সমস্যা হয়েছে।


কিন্তু সত্যিই কি জল খেলেও অ্যাসিড হয়? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত খুব ঝাল খাবার, তেল-মশলা দেওয়া খাবার, ফ্যাটজাতীয় খাবার বা কোনও খাবারে যদি ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাকটর পিলোরি থাকে, তা হলে সেই খাবার থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে। মাঝে মাঝে এই সমস্যা হলে তা তেমন চিন্তার বিষয় নয়। কিন্তু যদি এই সমস্যা হতেই থাকে, তা হলে তা খাদ্যানালীতে ক্যানসার বা এই ধরনের কোনও ক্রনিক ডিজিজ তৈরি করতে পারে। ফলে এই সমস্যা সারিয়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি এই ঘরোয়া উপাদানে সমৃদ্ধ কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চললে অ্যাসিডিটি থেকে উপশম পাওয়া যেতে পারে।


বেকিং সোডা - সোডিয়াম বাই-কার্বোনেটে এমন উপাদান থাকে, যা অ্যাসিডিটি সারিয়ে তুলতে পারে। অনেকেই অ্যাসিডিটি হলে এই পদ্ধতি মেনে চলেন। কিন্তু এখানে বলে রাখা দরকার, যদি অ্যাসিডিটি রোজ হয় বা পেটে অন্য কোনও সমস্যা থাকে, তা হলে অবশ্যই কোনও গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা ভালো।


জিরে - জিরে ভিজিয়ে সেই জল খেলেও পেট পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে এবং অ্যাসিডিটি কমে যেতে পারে। এই জিরে ভেজানো জল হজমের সমস্যাও দূর করে এবং একই সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কালো জিরে গ্যাস্ট্রিক আলসার সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।


আদা - জিরের মতো আদাও হজমে সাহায্য করে। আদা অ্যাসিডিটি দূর করতেও সাহায্য করে। জ্বালাভাব কমায় ও খাদ্যনালী পরিষ্কার করে। কারণ এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে। আদা গ্যাস্ট্রিক আলসারও সারিয়ে তোলে।


তুলসী - বেশ কিছু সমীক্ষা ও গবেষণা বলছে, তুলসি পাতা, যা প্রায় আমাদের সকলের বাড়িতেই থাকে, তা গ্যাস্ট্রিক আলসার কমায়। সেলুলার মিউকাসের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে পাকস্থলীতে বা খাদ্যনালীতে অ্যাসিড তৈরি হয় না এবং কোনও ক্ষতি হওয়া থেকে আটকায়। এতেও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে।