

•রাস্তাঘাটে, বাসে-ট্রামে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আলোচনায় বার বারই উঠে আসে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগের কথা। যা আমাদের দেশের প্রায় সব বাড়িতেই কম-বেশি রয়েছে। সমীক্ষা বলছে ভারতে প্রতি ১১ জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিক। যা দিন দিন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। আর ডায়াবেটিক মানেই প্যানিক করার ব্যাপারটিও চলে আসে অনেকের মধ্যে। অনেকেই আবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেন না। যার থেকে এই রোগ আরও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়।


•দেশের মানুষের মধ্যে সঠিক সচেতনতা গড়ে তুলতে রিসার্চ সোসাইটি ফর স্টাডি অফ ডায়াবেটিস ইন ইন্ডিয়া বা RSSDI-এর সঙ্গে এ বার MoU চুক্তি সাক্ষর করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইন্ডিয়া। তাদের লক্ষ্য এই নিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো ও সকলের মধ্যে ডায়াবেটিস নিয়ে সঠিক সচেতনতা গড়ে তোলা। বিয়ন্ড সুগার নামের একটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আগামী তিন বছরে এ দেশের এক কোটি ডায়াবেটিকের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করছে সংস্থা।


•দ্য ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশন অ্যাটলাস ভারতে ডায়াবেটিসের প্রভাব নিয়ে একটি সমীক্ষা করে। যাতে দেখা যায়, ১১ জন ভারতীয়র মধ্যে ১ জন ডায়াবেটিক। আর ২০৩০-এর মধ্যে মোট জনসংখ্যার ১১.৫ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ এই রোগে ভুগবেন। সমীক্ষা এটাও বলছে, ভারতে ৪৪ শতাংশ মানুষ হার্ট ফেলিওরে হাসপাতালে ভর্তি হন, যাঁদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস দেখা যায়। আর হার্ট ফেলিওরের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্কেও নিবিড়। এ দেশে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষের সব চেয়ে বড় সমস্যা হার্ট ফেলিওর। ফলে ডায়াবেটিস বাড়লে হার্ট ফেলিওরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়বে।


•এ বিষয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স ও রেগুলেটরি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. অনিল কুকরেজা জানান, হার্ট ডিজিস, ক্যানসার, ফুসফুসের রোগ, ডায়াবেটিস-সহ একাধিক নন-কমিউনিসেবল ডিজিসের সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রোগীদের স্বার্থে বরাবরই সামনের সারিতে থেকে কাজ করেছে সংস্থা। এ দেশে ডায়াবেটিস নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সে ভাবে নেই বললেই চলে।


•সাময়িক কিছু থেরাপি বা চিকিৎসা ছাড়া সে ভাবে কেউ এই নিয়ে ভাবে না। যার ফলে ডায়াবেটিস বাড়ছে। যা কিডনি ও হার্টকে একেবারে শেষ করে দিচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও RSSDI এ ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলবে। ডিজিটালি সকলের মধ্যে সচেতন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যাতে এ দেশের মানুষ কিছুটা হলেও এই নিয়ে সচেতন হয় ও প্রাথমিক পর্যায়েই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।