Diabetes Control Tips: ব্লাড Sugar লেভেল 100 mg/dl-র উপরে উঠবে না কিছুতেই...! শুধু পেঁপের সঙ্গে খান এই 'একটি' জিনিস! জানুন বিশেষজ্ঞের মত

খাওয়ার পরেও ব্লাড সুগার লেভেল ১০০ mg/dl-র উপরে উঠবে না! শুধু পেঁপের সঙ্গে খান এই একটি জিনিস! ডায়াবেটিস প্রশিক্ষক ও ফিটনেস নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনুপম ঘোষের মতে, বিশেষ উপায়ে পেঁপে খেলে ডায়াবেটিস সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ডায়াবেটিস নিঃসন্দেহে একটি দুরারোগ্য রোগ। এই রোগে রোগীর শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না। শুধু তাই নয়, শরীর যেভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করা উচিত সে ভাবে ব্যবহার করে না।

ইনসুলিন একটি হরমোন, যা গ্লুকোজ বা চিনিকে শরীরের কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। যদি শরীর সঠিকভাবে ইনসুলিন তৈরি না করে বা ব্যবহার না করে তবে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে থাকে।

রক্তে শর্করার বৃদ্ধি অনেক গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে: কিছু মানুষ তাদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ খান, আবার কিছু লোক ব্যায়াম বা স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে উচ্চ রক্তে শর্করা বজায় রাখার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াকে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার সেরা উপায় বলে মনে করেন। আয়ুর্বেদ থেকে পুষ্টিবিদ, বিশেষজ্ঞদের মতে এমন অনেক কিছু আছে যার সমুচিত সেবনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন জাগে যে ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঠিক কী কী খাবার ও পানীয় খাওয়া উচিত?

ডায়াবেটিস ডায়েট প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে অবশ্যই ফলগুলি উল্লেখ করা হয়। সুগারের রোগীরা জানতে চান ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে কোন ফল খাওয়া উচিত?

ফল সাধারণত স্বাস্থ্যকর খাদ্যের একটি অংশ কিন্তু কিছু ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, এই জাতীয় ফল খুব বেশি খাওয়া রক্তে শর্করার জন্য ভাল নয়।

এর মধ্যে পেঁপে এমন একটি ফল যা নিয়ে সর্বদা বিভ্রান্তি থাকে ডায়াবেটিক রোগীদের পেঁপে খাওয়া উচিত কিনা এমন প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই? চলুন জেনে নিই উত্তর।

ফল স্বাভাবিকভাবেই মিষ্টি এবং যেহেতু চিনি রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে, তাই কিছু লোক মনে করতে পারে যে ফল কম খাওয়া উচিত। তবে ফলগুলি আসলে একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ এবং সেগুলি পরিমিতভাবে খাওয়া ঠিক। একই নিয়ম পেঁপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ডায়াবেটিসে কতটা পেঁপে খাওয়া উচিত
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) অনুসারে, এক কাপ তাজা পেঁপেতে প্রায় ১১ গ্রাম (গ্রাম) চিনি থাকে। তাই সুগারের রোগীদের এটি খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। দিনে আধা বাটি পেঁপে খেতে পারেন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনও বিশ্বাস করে যে পেঁপের মতো মিষ্টি ফল অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।

পেঁপের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কি?
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল এমন একটি মান যা বলে যে একটি খাবার কত দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়ায়। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে (GI) পেঁপে ৬০ স্কোর করে, তাই এটি খুব দ্রুত রক্তে শর্করাকে বাড়ায় না।

পেঁপের সঙ্গে খান কমলা জাতীয় টক ফল
পুষ্টিগুণে ভরপুর, পেঁপে শুধুমাত্র রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে না বরং আপনার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, আপনার পাকস্থলী এবং অন্ত্রকে নিরাময় করে।

কমলালেবুর মতো সাইট্রাস ফল পেঁপের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তা আরও উপকার পেতে পারে। এই দুটি মিশিয়ে আপনি একটি পাওয়ার প্যাকড স্মুদিও তৈরি করতে পারেন। স্মুদিতে আলাদাভাবে চিনি যোগ করবেন না। সুগার রোগীদের জন্য স্মুদি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।

পেঁপের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেঁপে শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যই ভাল বিকল্প নয়, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, পেঁপে শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব ফেলতে পারে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।