ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ আর লকডাউন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বড়-সড় পরিবর্তন এনেছে। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর সদ্য খুলেছে জিমগুলি। কিন্তু সংক্রমণ এড়াতে অনেকে জিমমুখো হতে চাইছেন না। এ দিকে শরীরচর্চায় অবহেলা আবার সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই বাড়িতে থেকেই অনায়াসে কিছু ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারেন। নিজেকে সুস্থ রাখতে, শিখে নিতে পারেন কিছু কার্ডিও ও অ্যারোবিক এক্সারসাইজ। এ ক্ষেত্রে কোনও জিম ইক্যুইপমেন্টের দরকারও পড়বে না আপনার।
স্কিপিং - বাড়ির সামনের খোলা জায়গায় কিংবা ছাদে খুব সহজেই স্কিপিং করতে পারেন। দরকার শুধু একটি স্কিপিং রোপ দড়ির। এই সময়ে জিমে যাওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে বাড়িতেই নিয়মিত স্কিপিং করুন। দড়ির দুটি প্রান্ত ধরে, কবজি ঘুরিয়ে পায়ের নিচ দিয়ে দড়িটিকে ঘোরাতে থাকুন এবং লাফান। কমপক্ষে ১০ মিনিট স্কিপিং করুন প্রতিদিন। এ ভাবে আস্তে আস্তে গতি বাড়াতে থাকুন। আপনার শরীর থেকে পর্যাপ্ত ঘাম না বেরনো পর্যন্ত চালিয়ে যান স্কিপিং। মাথায় রাখবেন, এই সাধারণ শরীরচর্চাটি ভালোই কাজে দেবে।
বার্পিজ - হাতদু'টি প্রসারিত করে লাফান। পরে মাটির সমান্তরালে আপনার উরুর সাথে উবু হয়ে বসে পড়ুন এবং হাতের তালুকে মাটিতে রাখুন। তার পর হাতকে প্রসারিত করে যতটা সম্ভব পা দু'টিকে একে অপরের সঙ্গে লাগান। এ বার লাফিয়ে আবার উপরে উঠুন। এ ভাবেই বারবার অভ্যাস করতে থাকুন। এই ব্যায়াম আপনার ফ্যাট বার্ন করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
বাই-সাইকেল ক্রাঞ্চ - পিছনের দিকে হেলান দিন। এ বার আপনার পা দু'টিকে টেবলটপ পজিশনে রাখুন। কনুইটা বাঁকিয়ে, হাতদু'টিকে আপনার মাথার পিছনে রাখুন। এর পর আপনার ডান পা সোজা করে ডান কনুইটি বাম হাঁটুর কাছে আনুন। একই ভাবে আপনার বাম পা সোজা করে বাম কনুইটি ডান হাঁটুর কাছে আনুন। এ ভাবে ৪০-৫০ বার অভ্যাস করুন। এই ব্যায়াম আপনার শরীর সতেজ রাখতে খুব কার্যকরী।
স্কোয়াটিং - এ ক্ষেত্রে নিজের শরীরকে খানিকটা চেয়ারের আকারে নিয়ে যান। আপনার হাতদু'টিকে সামনে প্রসারিত করুন। তার পর একটু ঝুঁকে এবং নিজেকে খানিকটা পিছনের দিকে ঠেলে পায়ের উপর ভর দিয়ে খানিকটা চেয়ারের আকার নিন। অন্তত ৩০ সেকেন্ডের জন্য এই পজিশনে থাকুন। দেখে নিন আপনার কাঁধ ও পায়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকছে কি না। এই ব্যায়ামটিকে আরও একটু কঠিন করতে এই পজিশনেই লাফানোর অভ্যাস করতে পারেন।