অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোলেস্টেরল নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক কথাবার্তা শোনা যায়। অথচ কোলেস্টেরল কিন্তু আবার আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। এটা আসলে লিপিড বা ফ্যাট। কোষের মেমব্রেন, ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরনের মতো জরুরি হরমোন, হজমের জন্য পিত্ত অ্যাসিড এবং ফ্যাট ও ভিটামিন ডি শোষণের জন্য কাজে লাগে। তবে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের অর্থ হল কোলেস্টেরলের খারাপ অবস্থা। আসলে রক্তবাহী ধমনীতে কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ ফ্যাটি পদার্থ জমা হয়। যার ফলে ধমনীগুলিতে রক্তপ্রবাহের পথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর জেরে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর হার্ট, কিডনি, মস্তিষ্কের মতো জরুরি অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিতে রক্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, করোনারি আর্টারির রোগ অথবা অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের কারণে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। Representative Image
ফলে কোলেস্টেরল কিন্তু মাত্রার মধ্যে রাখা জরুরি। আর কোলেস্টেরল নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখার জন্য লাইফস্টাইল সঠিক করা বাঞ্ছনীয়। কিছু কিছু সময় তো ওষুধই ভরসা হয়ে ওঠে কোলেস্টেরল বাগে আনার জন্য। আবার কিছু ওষুধ রয়েছে, যা শুধু কোলেস্টেরলই কমায় না, তার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। ডায়েট এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকির উপর নির্ভর করে কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কোলেস্টেরল কমানোর পাঁচ ধরনের ওষুধ হয়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য স্ট্যাটিন ওষুধ প্রাথমিক বিকল্প। এইচএমজি-সিওএ রিডাকটেজের ইনহিবিটরগুলি স্ট্যাটিনের আর এক রূপ। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাটরভ্যাস্ট্যাটিন (লিপিটর), ফ্লুভাস্ট্যাটিন (মেভাকর), সিমভ্যাস্ট্যাটিন (জোকর), প্রাভ্যাস্ট্যাটিন (প্রাভ্যাকল), রসুভ্যাস্ট্যাটিন (ক্রেস্টর)।
এক-একটি পাতা বা স্ট্রিপে থাকে ১০টি করে ট্যাবলেট। যা অত্যন্ত সস্তা। দেশের বিভিন্ন অনলাইন ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়েবসাইটে এটি সহজেই পাওয়া যায়। আর দামও আয়ত্তের মধ্যেই। একটি পাতার দাম মাত্র ২৫ টাকা। অর্থাৎ এক-একটি ট্যাবলেটের মূল্য ২.৫০ টাকা। তবে মাথায় রাখতে হবে যে, নিজে থেকে ডাক্তারি করে ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। ওষুধ খেতে হলে সবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা প্রাণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে।